ইউরোপের যেসব সিনেমা রি-মেক করেছে হলিউড
চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে রি-মেক সিনেমার চেয়ে আসলটি বেশ ভালো৷ তবে এর বিকল্প যে নেই তা নয়৷ এখানে থাকছে হলিউডের কিছু সিনেমার কথা, যেগুলো ইউরোপের সিনেমার রি-মেক৷
একটি দ্রুত এবং সফল রি-মেক
২০১১ সালে হলিউডের সফল সিনেমা ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাটু’৷ এটি আসলে সুইডিশ চলচ্চিত্রের রি-মেক যেটি এর দুই বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল৷ ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত হলিউডের মুভিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ড্যানিয়েল ক্রেইগ এবং রুনি মারা৷ কিন্তু সুইডিশ অভিনেত্রী নোমি রাপাসের অভিনয় রুনির চেয়ে অনেক শক্তিশালী ছিলো বলে অভিমত চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের৷ যদিও রুনি তার ভূমিকার জন্য অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন৷
আবেদনের অভাব
২০০১ সালে জার্মান রোম্যান্টিক কমেডি ‘মোস্টলি মার্থা’ ইউরোপে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতেছিলো৷ ২০০৭ সালে হলিউডে এর রিমেক হয় ‘নো রিজারভেশনস’ নামে৷ এই চলচ্চিত্রে মূল মুভির আবেদন এবং সংবেদনশীলতার অভাব ছিলো বলে মনে করেন সমালোচকরা৷
জমজ, বেশ কয়েকবার
এরিক ক্যাস্টনারের ১৯৪৯ সালের অসাধারণ উপন্যাস ‘লোটি অ্যান্ড লিসা’ রূপালী পর্দায় মুক্তি পায় ১৯৫০ সালে জার্মানিতে৷ এরপর ১৪ বার এটির রি-মেক হয়েছে৷ ১৯৬১ সালে ওয়াল্ট ডিজনি প্রথম রি-মেক তৈরি করে ‘দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ’ নামে৷ একই গল্পে ১৯৯৮ সালে লিন্ডসে লোহানকে দেখা যায় তার অভিষেক মুভিতে৷
সফল ইন্টারন্যাশনাল কমেডি
তিন অবিবাহিত যুবক এক শিশুকে নিয়ে নানা ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হয়৷ এই তিনজনের একজন শিশুটির বাবা৷ এই কাহিনিটি আসলে ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া ফ্রেঞ্চ কমেডি, যা ১৯৮৭ সালে হলিউডে রি-মেক হয় ‘থ্রি মেন অ্যান্ড আ বেবি’ নামে৷ বক্সঅফিসে ব্যাপক সফল হয়েছিলো মুভিটি৷ পাঁচটি ভাষায় ছয়টি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে এই কাহিনি নিয়ে৷
একটি প্লট, একজন পরিচালক, দু’টি মুভি
ড্যানিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা ওলে বোর্নেডাল তার সফল থ্রিলার ‘নাইট ওয়াচের’ রিমেক করেছিলেন হলিউডে৷ কিন্তু হলিউডে সফলতা পায়নি তার রি-মেক৷ বাজেটের ঘাটতির কারণে মূল চলচ্চিত্র থেকে এটি অনেকটা নিস্প্রভ ছিলো৷
দু’টি চলচ্চিত্র, একজন অভিনেত্রী
১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় স্প্যানিশ থ্রিলার ‘ওপেন ইয়োর আইজ’৷ সমালোচকরা এই মুভি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘সায়েন্স ফিকশন, রোমান্স এবং বাস্তবের অদ্ভুত এক সংমিশ্রণ এটি৷’ ২০০১ সালে টম ক্রুজের প্রযোজনায় মুক্তি পায় এর রিমেক ‘ভ্যানিলা স্কাই’, যেটির মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তিনি নিজে৷ পেনেলোপে ক্রুজ মূল এবং রি-মেক দু’টি চলচ্চিত্রেই অভিনয় করেছিলেন৷ চলচ্চিত্রটির রিভিউ খারাপ হলেও বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছিলো এটি৷