1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যান’ বিচারের জন্য এখন হেগ’এ

১ জুন ২০১১

ইউরোপের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ম্যান’ বসনীয় সার্ব সেনাবাহিনীর প্রধান রাটকো ম্লাদিচ এখন হেগ’এর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায়৷ প্রায় আট হাজার মুসলমানকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷

https://p.dw.com/p/11RyF
In this photo provided by the Politika Newspaper, Bosnian Serb army commander Ratko Mladic, who was arrested Thursday, May 26, 2011, in Serbia after years in hiding. Genocide suspect Ratko Mladic in due in a Belgrade court for a hearing which is a legal step toward his extradition to a U.N. war crimes tribunal. Europe's most wanted war crimes fugitive was arrested Thursday in a northern Serbian village after 16 years on the run. The hearing is set for noon (1000 GMT) Friday, May 27, 2011. (AP Photo/Politika Newspaper) EDITORIAL USE ONLY EDITORIAL USE ONLY PHOTO PROVIDED BY THE POLITIKA NEWSPAPER AP PROVIDES ACCESS TO THIS PUBLICLY DISTRIBUTED HANDOUT PHOTO TO BE USED ONLY TO ILLUSTRATE NEWS REPORTING OR COMMENTARY ON THE FACTS OR EVENTS DEPICTED IN THIS IMAGE.
রাটকো ম্লাদিচছবি: AP

বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ইউরোপের সবচেয়ে বর্বর ঘটনা৷

ম্লাদিচ হেগ'এ যেতে চাইছিলেন না

তাঁর আইনজীবীরা মূলত স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছিলেন৷ তাঁরা বলছিলেন যে, হেগে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা ম্লাদিচের নেই৷ কিন্তু আদালত মনে করেছে হেগ'এ যেতে পারবেন ম্লাদিচ৷ তাই তাঁকে সেখানে পাঠিয়ে দেয়ার রায় দেয় আদালত৷ রায়ের পরপরই ম্লাদিচকে হেগ'এ নিয়ে যাওয়া হয়৷ এখন তিনি সেখানে জাতিসংঘের একটি কারাগারে রয়েছেন৷ যে কারাগারে আগে থেকেই রয়েছেন বসনিয়ার যুদ্ধের সময়কার রাজনৈতিক প্রধান রাদোভান কারাজিচ৷ জানা গেছে, দুই-একদিনের মধ্যেই ম্লাদিচের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে৷

কে এই ম্লাদিচ?

ম্লাদিচ ছিলেন বসনীয় সার্ব সেনাবাহিনীর প্রধান৷ বসনিয়া আর সার্বিয়া পাশাপাশি দুটি দেশ৷ প্রাক্তন ইউগোস্লাভিয়া থেকে এই দুটি দেশের জন্ম৷ ম্লাদিচ চাইছিলেন বসনিয়া থেকে মুসলমানদের সরিয়ে ‘গ্রেটার সার্বিয়া' গড়ে তুলতে৷ আর তাঁর এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছিল সার্বিয়ার তখনকার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ৷ যিনি বিচারকালীন সময়ে ২০০৬ সালে মারা যান৷

বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

প্রথম প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে৷ ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশ্টন একে স্বাগত জানিয়েছেন৷ এদিকে গ্রেপ্তার করার কয়েকদিনের মধ্যেই ম্লাদিচকে হেগ'এ পাঠিয়ে দিয়ে সার্বিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে তার প্রবেশের পথ সুগম করলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ এছাড়া ম্লাদিচের মতো যেসব মানুষের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে তাদের জন্যও এই বিষয়টি একটা সতর্কবাণী বলে মনে করছেন কেউ কেউ৷ এসব মানুষের মধ্যে রয়েছেন লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মর গাদ্দাফি ও সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস