1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের প্রতি সংহতি না দেখানোয় জার্মানির সমালোচনা

৫ অক্টোবর ২০২২

জ্বালানি সংকট সামলাতে জার্মানি বিশাল অংকের কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়ায় ইইউ স্তরে সমালোচনা বাড়ছে৷ জার্মানির মধ্যেও ফেডারেল ও রাজ্য স্তরে তহবিলের অর্থ নিয়ে বিরোধ চলছে৷

https://p.dw.com/p/4Hkzi
Bundesfinanzminister Christian Lindner zum Inflationsausgleichsgesetz FDP
জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার বলেছেন, জার্মানির ‘সুরক্ষা কবচ' নিয়ে আসলে অনেকের ধারণা ভুল (ফাইল ফটো)ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance

বিপদে পড়লে আগে নিজের ঘর সামলানো উচিত নাকি পাড়াপড়শির সহায়তা করা উচিত? জ্বালানি সংকট ও মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় বিপর্যস্ত ইউরোপে সেই প্রশ্ন নতুন মাত্রা পাচ্ছে৷ বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে জার্মানি পরিস্থিতি সামলাতে ২০ হাজার কোটি ইউরো ব্যয় করে নিজস্ব নাগরিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সহায়তার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, ইউরোপীয় স্তরে তার জোরালো সমালোচনা শুরু হয়েছে৷ জার্মানির এমন ‘একলা চলো রে' পদক্ষেপের কারণে ইউরোপে জ্বালানি সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠবে বলেও কিছু দেশ আশঙ্কা করছে৷ ফ্রান্স ও ইটালিসহ একাধিক দেশ ইইউ স্তরে এমন সার্বিক পদক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছে৷ এমনকি দুই জন ইইউ কমিশনরও জার্মানির সমালোচনা করেছেন৷ শুক্রবার চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্তরে সংকট মোকাবিলায় বিশাল অংকের তহবিলের বিষয়টি নিয়েও ঐকমত্যের অভাব রয়েছে৷ করোনা সংকটের সময় এমন সহায়তার ব্যবস্থা করা হলেও সদস্য দেশগুলির জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছিল৷ কিছু দেশ শর্ত মেনে নির্দিষ্ট কর্মসূচি স্থির করে সেই তহবিলের নাগাল পেলেও অনেক দেশ এখনো সেই কাজে সফল হয় নি৷ এমন একাধিক ইইউ তহবিলে এখনো কোটি কোটি ইউরো অবশিষ্ট রয়েছে৷ ফলে জ্বালানি সংকটের জের ধরে নতুন তহবিল গঠনের প্রস্তাবকে ঘিরে বিতর্ক কম নেই৷ ইইউ স্তরে এমন বাড়তি ব্যয়ের জন্য আর্থিক বাজার থেকে আবার যৌথ ঋণ নিতে প্রস্তুত নয় অনেক দেশ৷

জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার ইইউ স্তরে সমালোচনার জবাব দিয়ে বলেছেন, জার্মানির ‘সুরক্ষা কবচ' নিয়ে আসলে অনেকের ধারণা ভুল৷ কারণ জার্মানি বিদ্যুতের বাজারে রদবদল করতে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ তার মতে, জার্মান অর্থনীতির মাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য

রেখেই সরকার সংকট সামলানোর উদ্যোগ নিচ্ছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, যে অন্যান্য কিছু দেশও নাগরিকদের সহায়তা করতে জাতীয় স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ বার্লিনে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বলেন, জার্মানি একাধিক বন্দরে এলএনজি টার্মানিলার গড়ে তোলার যে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার ফলে অন্যান্য দেশেরও উপকার হবে৷

জার্মানির মধ্যেও ফেডারেল সরকারের প্রস্তাবিত ২০ হাজার কোটি ইউরো অংকের তহবিল নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ কারণ সরকার একা সেই তহবিল বহন না করে রাজ্য সরকারগুলির অংশগ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছে৷ কর ও রাজস্ব বাবদ বাড়তি আয়ের অংশবিশেষ সেই তহবিলে কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করছে ফেডারেল সরকার৷ অন্যদিকে রাজ্য সরকারগুলি বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষি করছে৷ চলতি অক্টোবর মাসে বিশেষজ্ঞদের এক কমিশন তহবিলের রূপরেখা সম্পর্কে স্পষ্ট প্রস্তাব পেশ করার পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এসবি/কেএম (এপি,এএফপি)