ইউরোপীয় নেতারা মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে বিবৃতি দেবেন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার উপর নজর রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে শান্তি আলোচনার পথে বাধাগুলি নিয়ে আলোচনা হবে৷ মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে শীর্ষ নেতারা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করবেন৷ শান্তি আলোচনা চলাকালীন এমন এক বিবৃতি প্রকাশের কোনো পরিকল্পনা ছিল না৷ কিন্তু ফ্রান্সের চাপেই তাঁরা এমনটা করছেন বলে কূটনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে৷ অধিকৃত এলাকায় বসতি নির্মাণের উপর ইসরায়েল যে সাময়িক বিরতি পালন করছে, চলতি মাসেই তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ ইউরোপীয় নেতারা সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানাবেন৷ তাছাড়া আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বসতি নির্মাণ বে-আইনী – একথাও তাঁরা আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন৷ তাঁদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে চূড়ান্ত শান্তি আনতে যেসব বিরোধ মেটাতে হবে, তার জন্য ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি বজায় রাখতে হবে ও কোনো প্ররোচনার ফাঁদে পা দিলে চলবে না৷
আপাতদৃষ্টিতে ইউরোপের প্রভাব সীমিত বলে মনে হতে পারে৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে, ফিলিস্তিনি এলাকার সবচেয়ে বড় দাতা হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ই.ইউ. রাষ্ট্রদূতেরা খোলাখুলি বলছেন, যে ইউরোপের সহায়তা ছাড়া স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়৷ শুধু পশ্চিম তীর নয় – গাজার পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায় ইউরোপ৷ আজকের শীর্ষ সম্মেলনে যে বিবৃতি প্রকাশিত হবে, তাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুশ্চিন্তার উল্লেখ থাকলেও গাজাকে একঘরে করে রাখার নীতির সার্থকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হবে৷ বিশেষ করে গাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গেও স্থায়ী শান্তির বিষয়টি জড়িয়ে আছে বলে মনে করেন ইউরোপীয় নেতারা৷ মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সার্বিক ও স্থায়ী সমাধানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলের অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গেও শান্তির উপর জোর দিচ্ছে৷ অর্থাৎ সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে বিরোধ না মেটালে সেই পথ থেকে কাঁটা দূর হবে না৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়