1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কফি, চকোলেট যেন আগামীর ‘কালো সোনা’

৩ ডিসেম্বর ২০২০

ইউরোপে তেলের বাজারে মন্দা৷ বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বড় তেল কোম্পানিগুলো৷ বেশি লাভ কফি, চকোলেট, স্ন্যাকস ইত্যাদিতে! 

https://p.dw.com/p/3mBGi
জার্মানির ইঙ্গোলস্টাটে রয়েল ডাচ শেল-এর একটি ফিলিং স্টেশন
জার্মানির ইঙ্গোলস্টাটে রয়েল ডাচ শেল-এর একটি ফিলিং স্টেশনছবি: Peter Kneffel/dpa/picture-alliance

বিপি, রয়েল ডাচ শেল এবং টোটাল-এর মতো বড় তেল কোম্পানিগুলোর ওপর বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন সরকারের পক্ষ থেকে কার্বন নিঃসরণ কম করে এমন জ্বালানি উৎপাদনের চাপ বেড়েই চলেছে৷ কিন্তু নবায়নযোগ্য তেলের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো খরচ করে কোম্পানিগুলো উল্টো বিপদে পড়ছে৷ করোনা সংকটের সময় সার্বিকভাবেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ৷ আর এই খাতে তো এত খারাপ যে, কোম্পানিগুলো বিকল্প খাতে অল্প লাভের দিকেও ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে৷ দেখা যাচ্ছে, তেল বিক্রির চেয়ে ফিলিং স্টেশন লাগোয়া অটোম্যাট বা দোকানে কফি, চকোলেট, স্ন্যাকসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রিতে লাভ যথেষ্ট বেশি৷ 

ফলে বিপি, রয়েল ডাচ শেল এবং টোটাল-এর মধ্যে শুরু হয়েছে ফিলিং স্টেশন বাড়ানোর প্রতিযোগিতা৷ ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে তেল বা গ্যাস ভরতে, কিংবা ইলেকট্রনিক গাড়ি (ইভি) চার্জ করাতে গিয়ে চট করে এক কাপ কফি পান করা বা সঙ্গে কিছু চকোলেট, স্ন্যাকস বা অন্য খাবার নেয়ার যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়৷ অনেকেই তখন এটা-ওটা কেনেন৷ সুতরাং ফিলিং স্টেশন যত বাড়বে ততই বাড়বে এসব পণ্যের বিক্রি৷ 

শেল কোম্পানি তাই খুচড়া বিক্রি বাড়ানোর জন্য ফিলিং স্টেশন শতকরা ২০ ভাগ বাড়িয়ে ৫৫ হাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বিপি-ও বসে নেই৷ ২০২৫ সালের মধ্যে তারা ফিলিং স্টেশন শতকরা ৫০ ভাগ বাড়িয়ে ২৯ হাজারে নিয়ে যাবে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে ইলেক্ট্রিক গাড়ি, অর্থাৎ ইভি চার্জারের সংখ্যাও ৭০ হাজারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে তাদের৷ খুচড়া তেল বিক্রি এবং তার সঙ্গে কফি, চকোলেট ইত্যাদি বিক্রির দিকে টোটাল কোম্পানিও ঝুঁকছে৷ ইউরোপে এই মুহূর্তে এক লাখ ৫০ হাজার ইভি চার্জার রয়েছে তাদের৷ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সংখ্যাটাকে ১৮ হাজারে নিয়ে যেতে চায় তারা৷ 

এসিবি/কেএম (রয়টার্স)