ইউরোপের দারুণ কিছু চিড়িয়াখানা
দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যবস্থাপনার গুণে সব কিছুই ভিন্ন মাত্রা পায়৷ ইউরোপের কিছু চিড়িয়াখানা দেখলেও সে-কথা মনে হয়৷ ছবিঘরে থাকছে এমন কিছু চিড়িয়াখানার কথা, যেগুলো বারবার দেখতে ইচ্ছে করে৷
টিয়ারপার্ক হাগেনবেক
জার্মানির হামবুর্গের এই চিড়িয়াখানাটির প্রতিষ্ঠাতা কার্ল হাগেনবেক৷ তাই এর নামও টিয়ারপার্ক হাগেনবেক৷ জার্মান ভাষায় টিয়ার মানে প্রাণী৷ এক সময় বিশ্বের সব চিড়িয়াখানাতেই খাঁচায় পুরে রাখা হতো প্রাণীদের৷ ১৯০৭ সালে হাগেনবেকই প্রথম বেষ্টনীতে ঘেরা পরিখায় প্রাণীদের রাখা শুরু করেন৷
জুম এরলেবনিসভেল্ট
জার্মানির আরেক শহর গেলজেনকির্শেনের এই চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে একদিনে আলাস্কা, আফ্রিকা বা এশিয়ার আদলে গড়া প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেক প্রাণী দেখার সুযোগ৷
বার্লিনের জুয়োলজিক্যাল গার্ডেন
জার্মানির এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে এক হাজার তিনশ প্রজাতির ২০ হাজারেরও বেশি প্রাণী৷ ওপরের ছবির মেরু ভালুকের ছানাটি এই চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ৷ ওর নাম হ্যার্থা৷ বার্লিনের ফুটবল ক্লাব হ্যার্থা বার্লিন থেকেই ওর নাম রাখা হয়েছে হ্যার্থা৷ ওর স্পন্সরও হ্যার্থা বার্লিন৷ ভালুক ছানা হ্যার্থাও এখন ফুটবল খেলে৷ চিড়িয়াখানায় গেলেই দেখবেন ও ফুটবলে লাথি মেরে মেরে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷
আলভেটার জু
জার্মান ভাষায় আলভেটার মানে সব আবহাওয়া৷ মিউনিখের এই চিড়িয়াখানা শীত-গ্রীষ্ম সব মৌসুমেই ঘুরে দেখার সুব্যবস্থা রয়েছে৷
হাইমাট-টিয়ারপার্ক ওল্ডারডিসেন
এই চিড়িয়াখানাটিও জার্মানিতে৷ বিলেফেল্ডের এই চিড়িয়াখানা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এবং এর ভেতরে যেতে কোনো টিকিট কাটতে হয় না৷
টিয়ারগার্টেন শ্যোনব্রুন
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন চিড়িয়াখানা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের এই টিয়ারগার্টেন শ্যোনব্রুন৷ ১৭৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ চিড়িয়াখানা প্রথম দর্শনার্থীদের মাঝে সাড়া ফেলেছিল ১৮২৮ সালে৷ সে বছরই প্রথম নিয়ে আসা হয় জিরাফ৷ শীতের দেশ বলে কোনো প্রাণীকে সারা বছর খোলা জায়গায় রাখা যায় না৷ তাই জিরাফের উপযুক্ত উচ্চতার আবাস গড়তে নিতে হয়েছিল বিশেষ উদ্যোগ৷ জিরাফ দেখতে রীতিমতো দর্শনার্থীর ঢল নেমেছিল তখন৷
এডিনবার্গ জু
এডিনবার্গের এই চিড়িয়াখানার বড় আকর্ষণ নানা ধরনের পেঙ্গুইন৷এই চিড়িয়াখানাই প্রথম পেঙ্গুইন রাখা শুরু করে৷ এখনো সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে তারা৷পেঙ্গুইনদের প্যারেড দেখতে প্রতি বছর প্রচুর দর্শক ভিড় করে সেখানে৷
লোরো প্রাক টেনেরিফ
স্পেনের টেনেরিফ দ্বীপের এই চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠাতা জার্মানির ভল্ফগাং কিসলিং৷ শুরুতে সেখানে শুধু তোতা পাখি রাখা হতো৷ বিভিন্ন প্রজাতির তোতা পাখি এখনো এই চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ৷