1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাষার উৎস

৯ মে ২০১৩

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা প্রাগৈতিহাসিক মানুষের ভাষা ও তার বিবর্তন সম্পর্কে অনেক উল্লেখযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ সম্প্রতি জানা গেছে, ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক ভাষার মূল শিকড় ছিল তুষার যুগের মানুষদের ভাষায়৷

https://p.dw.com/p/18UDV
ছবি: Fotolia/Faber Visum

প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষের বুদ্ধি ও ক্ষমতা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা করা হয়৷ কেউ বলে, তারা নিতান্তই বোকা ছিল৷ কোনোরকমে টিকে থাকা ছাড়া আর কোনো বিশেষ ক্ষমতা তাদের মধ্যে ছিল না৷ আর সভ্যতা বলতে যা বোঝায়, তার কোনো ছাপ তো ছিলই না৷ কিন্তু তাদের সম্পর্কে যত তথ্য জানা যাচ্ছে, বিস্ময়ের কারণ ততই বাড়ছে৷ জানা যাচ্ছে, তারা যথেষ্ট উন্নত মানের জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত ছিল৷

ইউরোপের ‘আইস এজ' বা তুষার যুগের কথাই ধরা যাক৷ বেশি নয়, ১৫,০০০ বছর আগের কথা৷ জানা গেছে, তখন আমাদের পূর্বপুরুষদের ভাষা বেশ উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল৷ এমনকি ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক ভাষায় আজ যে সব শব্দ চালু আছে, সেগুলির শিকড়ও এই গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে৷ ইংরিজি ভাষায় ‘ফাদার', ল্যাটিন ভাষায় ‘পাটার' বা সংস্কৃত ভাষায় ‘পিতৃ'৷

ব্রিটেনের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবর্তন সংক্রান্ত জীববিজ্ঞানী মার্ক পেজেল ও তাঁর সহকর্মীরা এ বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ তাঁদের মতে, ভাষার বিবর্তন হয় ঠিকই, কিন্তু সর্বনাম বা অন্যান্য জরুরি শব্দ হাজার-হাজার বছরেও তেমন একটা বদলায় না৷ ১০ হাজার বছর পর পর এমন কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে৷ আমি, তুমি, আমরা, পুরুষ – এই সব শব্দ একাধিক ভাষায় প্রায় একই উচ্চারণে থেকে গেছে৷ হাজার-হাজার বছর ধরে সে ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটে নি৷

তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী, ইউরেশিয়া অঞ্চলের কমপক্ষে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা-পরিবারের উৎস একই৷ ইন্দো-ইউরোপীয় গোষ্ঠীর প্রায় ৭,০০০ ভাষা বিশ্লেষণ করে পেজেল ও তাঁর সতীর্থরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন৷

সম্প্রতি ‘নেয়ানডারথাল' মানুষের জিনোম পুরোপুরি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা তাদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ ফলে ধাপে ধাপে নিজেদের পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরও স্বচ্ছ হয়ে উঠবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য