1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউন সান এর চোদ্দো শৃঙ্গ জয় নিয়ে বিতর্ক

২৮ এপ্রিল ২০১০

অবশেষে চোদ্দা শৃঙ্গ জয় করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার পর্বতারোহিণী ওহ্ ইউন সান৷ প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের ১৪টি সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ জয় করার কাজটা মঙ্গলবারেই সেরে ফেলেছেন তিনি৷ ইতিমধ্যে তাঁর দেশ, দক্ষিণ কোরিয়ার শুরু হয়েছে বিজয়োৎসব৷

https://p.dw.com/p/N8Jq
ওহ্ ইউন সানছবি: picture alliance/dpa

হিমালয়ের অন্নপূর্ণার চূড়ায় উঠে ৪৪ বছর বয়সী ইউন সান প্রথমেই তাঁর দেশের পতাকাটি উড়িয়ে দেন৷ এরপর আনন্দে চিত্কার করে ওঠেন ‘হুররে'৷ কোরিয়ার এক টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচারও করে সবটা৷ বলে বসবেন না যেন, অত ওপর থেকে সরাসরি সম্প্রচার হলো কিভাবে? উত্তর সোজা, ইউন সান এর এক সহ-পর্বতারোহীর সঙ্গে ছিল ক্যামেরা৷ সেটা দিয়েই হয়েছে রেকর্ড৷

কিন্তু ইউন সান এর এই জয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই খানিকটা কালিমালেপনের চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে৷ যে তিনজন নারী ৮ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার ১৪টি শৃঙ্গজয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন, তাদেরই একজন দাবি করেছেন, গত বছর সম্ভবত কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করেননি ইউন সান৷ ফলে চোদ্দো শৃঙ্গ জয় প্রথমেই তাঁর হল কী ভাবে?

সন্দেহ প্রকাশ করা এই পর্বতারোহিণীর নাম এডুরনে পাসাবান৷ এই প্রতিযোগিতায় ইউন সানের ঠিক পেছনেই ছিলেন তিনি৷ এখনও পর্যন্ত জয় করেছেন ৮০০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতার ১৩টি শৃঙ্গ৷

৩৬ বছর বয়সী স্পেনের এই নারীর দাবি, কাঞ্চনজঙ্ঘা জয়ের পর ওহ্ যে ছবি দেখিয়েছেন তার সঙ্গে তাঁর নিজের ছবির কোন মিল নেই৷ আর এই দাবি একেবারে ফেলনা নয়, কারণ ওহ্-র ঠিক পরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করেন পাসাবান৷ একজনের ছবি ছিল ফাঁকা মাঠে, আর অন্যজনের বরফের মধ্যে৷ ফলে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে৷

ইতিমধ্যে হিমালয় পর্বতারোহরণ সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইউন সান এর সঙ্গে আলোচনা করবেন তাঁরা৷

অবশ্য আলোচনা যাই থাক, এই মুহূর্তে বিজয়ী ওহ্ ইউন সান৷ আজ বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রকাশিত যাবতীয় পত্রপত্রিকার শিরোনামেই ইউন সানের হাসিমুখের সূর্যোদয়৷ এখন যাকে বলে জাতীয় নায়িকা তিনি৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়