শান্তিতে নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সমকামী অধিকারের পক্ষে গত বছর করা এক মন্তব্যের প্রতিবাদ নিয়ে আমাদের প্রতিবেদন প্রকাশের পর অনেকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷
ডা. এস এম এ হান্নান পাবনা থেকে ই-মেলে জানিয়েছেন, ড. ইউনূসের সমকামিতা সমর্থন বিষয়ক সংবাদটি ডয়চে ভেলে থেকে জানতে পেরে তিনি হতবাক৷ বিষয়টা প্রত্যেকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে বলেও মনে করেন তিনি৷
ফেসবুকেও অনেকে সমকামিতার বিপক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন৷ আর এটাকে সমর্থন জানানোয় ড. ইউনূসেরও সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ৷ হাসান আলি লিখেছেন, সমকামিতা সমাজ নষ্টকারী একটি ভাইরাস৷ ইসলাম ধর্ম এটা সমর্থন করে না৷ মিরনের মতে, এটা বিকৃত মানসিকতার যৌনাচরণ৷
তবে তৌহিদ মুক্তাদির লিখেছেন, ‘‘তাদেরকে সমাজ অধিকার দেবে, না দেবে সেটা সমাজের ব্যাপার৷ কিন্তু সমকামী মানুষতো আমাদের সমাজে আছে৷ সমকামীর অধিকার মানে এই নয় আপনার আমার সমকাম করতে হবে৷ এটা হচ্ছে এমন একটা বিষয় যারা সমকামী তাদেরকে মেনে নেয়া৷ ইচ্ছা করে কেউ সমকামী হয় না, এটা প্রকৃতিগতভাবেই৷ নারীর প্রতি আকর্ষণ আমরা যেমন ইচ্ছা করে তৈরি করিনি প্রকৃতিগতভাবেই পেয়েছি তেমনি সমকামীরা স্ব লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট, এটা তারা প্রকৃতিগতভাবেই পেয়েছে৷''
ড. ইউনূসের সমকামিতাকে সমর্থনের সংবাদটি জানতে পেরে অনেকে হতবাক
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘যারা ধর্মের কথা বলছেন, তাদের বলছি, ইসলামে কি সরাসরি এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে? সমকামীদেরতো আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন৷ ড. ইউনূস বা অ্যামেরিকানরা নয়৷ তাদেরকে না মেনে নিলেই কি তারা সমাজ থেকে বিদায় নেবে? তারা থাকবেই৷''
কফিল উদ্দিন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘আমি ড. ইউনূসকে সমর্থন করি কিন্তু আমি সমকামিতা সমর্থন করিনা৷'' কামরুল হাসানের বক্তব্য, ‘‘যে কাজে অন্যের ক্ষতি হয়না. যা শুধুমাত্র তাদেরই ভালো মন্দের ব্যাপার, সেখানে তাদেরকে বাধা দেয়া কেমন যেন অন্যায় মনে হয়৷''
এদিকে ৩ অক্টোবর জার্মান পুনরেকত্রীকরণ দিবস উপলক্ষ্যে জার্মানির সব নাগরিককে অনেক অনেক শুভ কামনা জানিয়েছেন ভারতের নতুন দিল্লির সুভাষ চক্রবর্তী৷
– ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী