1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন সংকটের মাঝে জাপানের পাশে দাঁড়ালেন শলৎস

২৯ এপ্রিল ২০২২

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের ডাক দিয়ে জাপানে নতুন বার্তা শোনালেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস৷ রাশিয়া ও চীনের বর্তমান আগ্রাসী মনোভাবের বিরোধিতা করলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4AbHF
জাপান সফরে জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসছবি: REUTERS

ইউরোপে যখন যুদ্ধ চলছে তখন সুদূর জাপান সফরে গেলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা গোটা বিশ্বের ভৌগোলিক-রাজনৈতিক রসায়নের উপর কতটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে চলেছে, এই সফরের মাধ্যমে শলৎস তা কিছুটা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন৷ বছরের শেষে জি-সেভেন সভাপতিত্ব হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি তিনি নতুন প্রেক্ষাপটে জাপানের সঙ্গে আরো নিবিড় সম্পর্ক ও সমন্বয়ের উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ পূর্বসূরি আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পথ অনুসরণ করে এশিয়া সফরের প্রথম দেশ হিসেবে চীনকে বেছে না নিয়েও তিনি নজর কেড়েছেন৷ চ্যান্সেলরের প্রতিনিধিদল অবশ্য চীনে করোনা সংকটের কারণে বর্তমান কড়াকড়ির প্রতি নজর আকর্ষণ করেছে৷

রাশিয়ার আকাশসীমা এড়িয়ে প্রায় ১৩ ঘণ্টা বিমানযাত্রার শেষে টোকিও পৌঁছে শলৎস এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সেই সব দেশের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করেন, যেখানে জার্মানি তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি জাপান ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মতো দেশের উল্লেখ করেন৷ তবে সেই প্রসঙ্গে চীনের নাম উচ্চারণ করেন নি শলৎস৷ বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার বর্তমান দুর্বলতা সত্ত্বেও তিনি সেই কাঠামোর নতুন রূপের পক্ষে সওয়াল করেন৷ ‘সাপ্লাই চেন’-এ বর্তমান বিঘ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্দিষ্ট কোনো দেশের উপর নির্ভরতা কমানোর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন৷

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে শলৎস আবার ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার নিন্দা করেন৷ কিশিদাও রাশিয়ার হামলার সমালোচনা করে এশিয়া মহাদেশেও বল প্রয়োগ করে ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তনের আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷ উল্লেখ্য, জাপানও জি-সেভেনের বাকি দেশের মতো রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে এবং ইউক্রেনকে সহায়তা করছে৷ রাশিয়া ও চীনের মতো দেশের বর্তমান আগ্রাসী আচরণেরও পরোক্ষ সমালোচনা করেন দুই নেতা৷ তারা হংকংয়ের পরিস্থিতি এবং চীনের শিনচিয়াং প্রদেশে মুসলিম উইগুর জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন৷

চীনের বর্তমান নেতৃত্ব যেভাবে বলপ্রয়োগ করেও তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে, সে বিষয়েও জাপানে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার একতরফা হামলার প্রেক্ষাপটে চীনের বেপরোয়া আচরণের আশঙ্কা আর উড়িয়ে দিতে পারছে না টোকিও৷ প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেন, জাপান আন্তর্জাতিক সমাজের নানা চ্যালেঞ্জের মুখে জার্মানি তথা অন্যান্য কৌশলগত সহযোগীদের সঙ্গে আরও নিবিড় সহযোগিতার আশা করছে৷ চীনের প্রতি নীতির ক্ষেত্রেও তিনি এমন সমন্বয় চাইছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)