ইউক্রেন থেকে আবার খাদ্যশস্য রপ্তানি
ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হয়েছে৷ রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক উদ্যোগের ফসল
জাতিসংঘ ও তুরস্কের উদ্যোগে এক চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে আবার খাদ্যশস্য রপ্তানির পথ সুগম করা হয়েছে৷ ফলে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে ইউক্রেনের শস্য আবার বিশ্ব বাজারে পৌঁছাতে পারছে৷ রাশিয়ার হামলার প্রায় পাঁচ মাস পর এই প্রথম এমন এক বোঝাপড়া সম্ভব হলো৷
খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করতে বোঝাপড়া
বর্তমান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত ইউক্রেন বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য রপ্তানি করে এসেছে৷ রাশিয়ার হামলার ফলে সেই সরবরাহ আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংকট সৃষ্টি হয়৷ কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার অবরোধের ফলে ইউক্রেনের বন্দরগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে৷ তবে বর্তমান বোঝাপড়া কতদিন স্থায়ী হবে, সে বিষয়ে সংশয় এখনো কাটে নি৷
অবকাঠামো আবার সক্রিয় করার চ্যালেঞ্জ
ইউক্রেন সংকটের শুরু থেকে ৭০ লাখ টন গম, এক কোটি ৪০ লাখ টন ভুট্টার দানা, ৩০ লাখ টন সূর্যমুখী গাছের তেল বিশ্ববাজারে পৌঁছানো সম্ভব হয় নি৷ ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে৷ খাদ্য সংকটের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিও বেড়ে গেছে৷ এবার রেল ও জাহাজের মাধ্যমে আবার সরবরাহ চালু করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক তৎপরতা
জাতিসংঘের কূটনৈতিক উদ্যোগের নেপথ্যে অনেক দেশই সক্রিয় হয়েছে৷ ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেনের রাষ্ট্রদূতদের উপস্থিতি সেই তৎপরতার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ ২০২২ সালের ২৯শে জুলাই তাঁরা সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন৷
জার্মানির আগ্রহ
ইউক্রেনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আনকা ফেল্ডহুসেন ইউক্রেনের অবকাঠামোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওলেক্সান্ড্র কুবরাকভের সঙ্গে খাদ্যশস্য রপ্তানির খুঁটিনাটী বিষয়গুলি সম্পর্কে আলোচনা করেন৷ জি-সেভেন দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে তিনি প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখেন৷
সামরিক তত্ত্বাবধানে খাদ্যশস্য রপ্তানি
ওডেসা বন্দরে জাহাজে শস্য বোঝাই করার প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী৷ বোঝাপড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওডেসায় রুশ হামলা গোটা প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে৷
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা
২০২২ সালের ১লা আগস্ট সিয়েরা লিওনে নিবন্ধিত মালবাহী জাহাজ রাজোনি ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে শস্য বোঝাই করে ইস্তানবুলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে৷ পানির উপর ভাসমান মাইন ও রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় নাবিকদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করতে হয়েছে৷