1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-র প্রতি নেতানিয়াহুর আহ্বান

১১ ডিসেম্বর ২০১৭

জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মেনে নেয়া হলে এ অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে দাবি করে পরিস্থিতির বাস্তব সমাধানের দিকে নজর দিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷

https://p.dw.com/p/2p8uo
ছবি: Reuters/F. Lenoir

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে নেতানিয়াহু বলেন, ইউরোপিয়ান নেতৃবৃন্দের উচিত ‘বাস্তবতা’ স্বীকার করে নিয়ে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মেনে নেয়া৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির সাথে সহমত হয়ে ইইউ স্বীকৃতি দিলে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে শান্তি ফিরে আসবে৷ ‘‘নতুন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে সামনে এগুনোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার৷ আমি মনে করি বিষয়টি বিবেচনা এনে এ নিয়ে কীভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা ভাবা উচিত৷’’ 

জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর এ বিষয়ে বিশ্ব জনমত আদায়ে আনুষ্ঠানিক সফর শুরু করেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ এর আগে রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সাথে দেখা করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ বৈঠকে ‘জেরুসালেম’ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আইনের বিপক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট৷ এ সময় তিনি ইসারয়েলের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত না করার অনুরোধ জানান৷ জেরুসালেমে ইসরাইলের নেয়া পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, ‘‘বসতি স্থাপন বন্ধ ও ফিলিস্তিনী সরকারের সাথে আস্থার পুর্ননির্মাণ শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷’’ অন্যদিকে যৌথ এ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ট্রাম্পের দেয়া শান্তি স্থাপনের এ সুযোগ কাজে লাগানো প্রয়োজন৷

এর আগে রাজনৈতিক সমাধানের পথে না হেঁটে ‘জেরুসালেম’ সংকটের এমন চাপিয়ে দেয়া সমাধানের বিরোধীতা করে ইইউ-র পক্ষ থেকে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করা হয়৷ নেতানিয়াহুর সাথে অনানুষ্ঠিক এক বৈঠকের আগে ইইউ-র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি বলেন, ‘‘ইউরোপসহ পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে ইহুদিদের উপর আক্রমণের কঠোর সমালোচনা করতে চাই আমি, সেই সাথে ইসরাইল ও ইসরাইলের নাগরিকদের উপর অত্যাচারেরও সমালোচনা করছি৷’’ ইইউ-র ঐ বৈঠকে উপস্থিত থাকা ২৮টি দেশের প্রতিনিধিরাও এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতির ক্রমাবনতির আশংকা প্রকাশ করেন৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের বলেন, ‘‘ইহুদি জাতিসত্ত্বা বা ইসরাইল এমন অবাঞ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক তা আমরা চাই না৷ রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের প্রতি একই সাথে ইহুদি বিশ্বাসের প্রতি জার্মানির সহানুভূতি রয়েছে৷’’  

একতরফাভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দেয়া সিদ্ধান্তের পরপরই বিশ্বব্যাপী এর সমালোচনা শুরু হয়৷ দ্বিপাক্ষিক সমাধানের পরিবর্তে চাপিয়ে দেয়া এ সিদ্ধান্ত শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে বলেও সতর্ক করেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ৷

জেরুসালেম ইস্যুতে অনড় অবস্থান ইসরাইল ও ফিলিস্তিনির মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার অন্যতম বাধা হিসেবে ধরা হয়৷

আরএন/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)