1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ ইন্টারনেট যুগ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে

৭ মে ২০১১

এক নতুন ইন্টারনেট যুগ আনতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ চায় তথ্য-উপাত্ত বহনকারী পরিকাঠামোর এক দ্রুতগতি নতুন প্রজন্ম৷ আর তাই গবেষণা ও বিনিয়োগের ৬শ মিলিয়ন ইউরোর এক কর্মসূচি ঘোষিত হল৷

https://p.dw.com/p/11BA9
ইন্টারনেটে খবর ছড়ায় বিদ্যুৎগতিতে৷ছবি: picture alliance / dpa

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কোন গুরুত্বপূর্ণ খাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগের রেকর্ড প্রশ্নসাপেক্ষ৷ তবে বহু দেরিতে হলেও গ্যালিলিও স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিসটেমের জন্যে ৫.৪ বিলিয়ন ইউরোর বিশাল বাজেট নিয়ে কাজ শুরু করে ইইউ৷ তবে তার লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত গ্লোবাল পজিশনিং সিসটেম(জিপিএস) এবং চীন ও ও রাশিয়ার একই ধরনের প্রকল্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া৷

সুইজারল্যন্ডের ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পাহাড়ি টানেলের ভিতর লার্জ হ্যাডরন কোলাইডার - এলএইচসি নামের ৩.৯ বিলিয়ন ইউরোর পারমাণবিক পদার্থ বিজ্ঞানের যে পরীক্ষাকাজ চলেছে ইইউ তারও অন্যতম অর্থদাতা৷ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের গোপন তথ্য খুঁজে বের করাই ঐ গবেষণার লক্ষ্য৷ প্রকল্পের প্রথম বছরগুলোতে অবশ্য একের পর এক ব্যর্থতা আসে৷

সে যাই হোক, মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ ভবিষ্যতে ইন্টারনেট কাঠামোকে আরো দ্রুত আর জোরদার করাই এর লক্ষ্য৷ এদিকে ইউরোপীয় কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বে প্রথম ধাপে ৯০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল এজেন্ডার দায়িত্বে থাকা কমিশনার নেলি ক্রয়েস বলেন, ‘‘ইন্টারনেট অর্থনীতি জিডিপি'র শতকরা ৫.৮ হারে বাড়বে৷ অথবা ২০১৪ সাল নাগাদ তা প্রায় ৮শ বিলিয়ন ইউরো হবে৷ তবে আমরা ইন্টারনেট যুগের একেবারে সূচনা পর্বে রয়েছি৷''

ইউরোপীয় কমিশন বলছে, একবছরে শতকরা ৬০ ভাগ হারে বাড়ছে ইন্টারনেট ডেটা ট্রাফিক৷ কমিশন বলছে, প্রকল্পটি আসলে তৈরিই করা হয়েছে, ইন্টারনেটের অগ্রযাত্রা শক্তিশালী করতে৷ এদিকে প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০১৬ সালের মধ্যে ৩শ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷ তবে নেলি ক্রয়েস একই সঙ্গে গোপনতা, উন্মুক্ততা এবং বহুমুখিতার মতো ইউরোপীয় মূল্যবোধগুলো সুরক্ষিত রাখার বিষয় নিয়েও ভাবছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেক বেশি ক্ষিপ্র, চটপটে দুনিয়ার দিকে এগিয়ে চলেছি৷৷ যেখানে মানুষ আর তার পরিবেশ থেকে উৎসারিত তথ্য ফলপ্রসূভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে৷''

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক