1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউতে অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের পরিকল্পনা

১৫ জুন ২০১০

জার্মানি ও ফ্রান্স ভবিষ্যৎ ইউরোপের অর্থনীতির কাঠামোর ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়াতে একটা রূপরেখা নির্ধারণ করেছে৷ এ লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতাশটি রাষ্ট্রের একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনের আহ্বান জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/NrPM
ছবি: apn

জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল বার্লিনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি এর সাথে এক বৈঠকের পর বলেন, প্রয়োজনে এ ব্যাপারে ১৬টি ইউরো দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের একটি বৈঠক আহ্বান করা যেতে পারে৷

সার্কোজি ম্যার্কেল এর সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত হন৷ প্যারিস বিশেষ করে ইউরো-জোনের জন্য একটা অর্থনৈতিক কাঠামো গঠনে আগ্রহী এবং এই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর নিজস্ব একটা সচিবালয়ের প্রস্তাব দিয়েছে৷ কিন্তু বার্লিন এটি নাকচ করে দিয়েছে৷ কারণ এতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা খর্ব হবে৷

জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, আমি মনে করি জার্মানি ও ফ্রান্স এটা দেখিয়েছে যে, ইউরোপের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণের লক্ষ্যে আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে সক্ষম৷ ম্যার্কেল আশা প্রকাশ করে বলেন, ইউনিয়নের সাতাশটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের পরিষদ অর্থনীতির ক্ষেত্রে সমন্বয়ের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ব্যাপারে একমত হবেন৷ তিনি বলেন, এটা কোন নতুন ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা নয়৷ লক্ষ্য হতে হবে ইউরোপের বিভক্তি রোধ৷ ইইউতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সদস্য থাকতে পারবে না৷

বিশ্ব অর্থ বাজারের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারেও ম্যার্কেল ও সার্কোজি অভিন্ন মত পোষণ করেন৷ উভয় দেশই বিশ্বব্যাপী একটি অর্থ ও ট্র্যানজাকশন কর আরোপে আগ্রহী৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী হার্পার এর কাছে একটি চিঠি লিখব৷ কেননা পরবর্তী জি-টোয়েন্টি শীর্ষ-বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তাঁর দেশে এবং তিনিই এই সম্মেলনের চেয়ারম্যান৷

উল্লেখ্য যে, এ ধরনের করের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্তর্জাতিক বিরোধিতা রয়েছে৷ তাই চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টি বৈঠকে জার্মানি ও ফ্রান্সের জন্য ব্যাপারটা সহজ হবে না৷

ম্যার্কেল বলেন, জার্মানি ও ফ্রান্স সফল আলোচনা চালাতে পারে এবং ইউরোপের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণ করতে পারে৷ সার্কোজি বলেন, উভয় দেশ আগের চেয়ে এখন আরো ঐক্যবদ্ধ একবাক্যে কথা বলতে এবং যৌথ উদ্যোগ গ্রহণে৷

প্রতিবেদন: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন