ইংল্যান্ড নেবে না, ফ্রান্স তাদের রাখবে না: কালে-তে শরণার্থীর ভিড়
উত্তর ফ্রান্সের ‘কালে’ শহরে অবস্থানরত শরণার্থীরা প্রতিদিনই ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে৷ উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যাওয়া৷ কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ ফলে কালে শহর পরিণত হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে৷
উষ্ণ অভ্যর্থনা, তবে সকলের জন্য নয়
এই চিহ্নটি টুরিস্ট এবং ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য, শরণার্থীদের জন্য নয়৷ ব্রিটিশ শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় নানা পন্থা বার করা হয়েছে, যা-তে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত শরণার্থীরা ব্রিটেনে যেতে না পারে৷ ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হলেও, শেঙ্গেন এলাকার অংশ নয়, কাজেই সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ বজায় আছে৷
অলঙ্ঘনীয়
কাঁটাতার দেওয়া উঁচু তারের বেড়া দিয়ে বন্দর এলাকাটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে, যা-তে অনাকাঙ্খিত অনুপ্রবেশকারীরা ইংল্যান্ডমুখী ফেরি-তে চড়ার চেষ্টা না করে৷ এই বেড়া বহুবার বদলানো হয়েছে এবং জোরদার করা হয়েছে৷
পন্থা বার হয় ঠিকই
শরণার্থীরা বন্দরমুখী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে, ট্রাক কিংবা মোটর গাড়ির আশায়৷ যানজট হলেই তারা সকলের অজান্তে সেই গাড়িতে চড়ে বসার চেষ্টা করে৷
ধরা না পড়ার আশা
ট্রাক ড্রাইভারের কেবিনে আত্মগোপনের প্রচেষ্টা৷ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন শরণার্থী বেআইনিভাবে ফেরি-তে চড়ে ব্রিটেন ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়ে৷
কালে-র বস্তি
যারা ধরা পড়ে, তারাও প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়৷ বহু শরণার্থী তাঁবু কিংবা প্লাস্টিকের পাতের নীচে দিন কাটায়, পরবর্তী সুযোগের আশায়৷ উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের শীতও তাদের পক্ষে সহজ নয়৷
ক্ষুধা
সুদান থেকে আগত এক শরণার্থী দু’মুঠো রেঁধে খাচ্ছেন৷ ‘ভলান্টিয়ার’ বা স্বেচ্ছাসেবীরা মাঝেমধ্যে শরণার্থীদের জন্য সুপ রেঁধে আনে৷
সমর্থন
ফরাসি আন্দোলনকারীরা ১০০ বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যারা উদ্বাস্তু হয়েছিল, তাদের সঙ্গে আজকের শরণার্থীদের তুলনা করতে দ্বিধা করেন না৷ যে ‘‘লজ্জার প্রাচীর’’ কালে বন্দরকে ঘিরে রেখেছে, তা ভেঙে ফেলা হোক – এই হলো আন্দোলনকারীদের দাবি৷