ইংল্যান্ডের স্বপ্নভঙ্গ, টাইব্রেকারে হার, ইউরো কাপ ইটালির
দুই মিনিটে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পরও ইউরো কাপ জিততে পারল না ইংল্যান্ড। টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হলো।
প্রথমে এগিয়ে গিয়েও
খেলার বয়স তখন মাত্র দুই মিনিট। তখনই ইটালির জালে বল জড়িয়ে দেন লিউক শ। বক্সের ভিতরে চলতি বলে বাঁ পায়ের শট। ইটালির গোলরক্ষক পরাস্ত হন।
ইটালির নিয়ন্ত্রণে
গোল করার পর কিছুটা গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তখন মাঠজুড়ে খেলতে থাকে ইটালি। বলের নিয়ন্ত্রণেও ছিল তাদের প্রশ্নাতীত প্রাধান্য।
গোলের সুযোগ
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগও পায় ইটালি। তিনজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নেন ফেদেরিকো কিয়েসা। কিন্তু তা বাইরে যায়। অনেক সময়ই ইংল্যান্ডের সব ফুটবলারকে রক্ষণে মন দিতে দেখা যায়। প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিট তো ইটালি একের পর এক আক্রমণ করে গেছে। উপরে এমনই এক আক্রমণের ছবি।
কেন ও স্টারলিং কড়া নজরে
দুই মিনিটে গোল খেলে কী হবে, ইটালির রক্ষণ তারপর নিখুঁত ছিল। ইংল্যান্ডকে আক্রমণে উঠতেই দিচ্ছিল না। কেনকে কড়া মার্কিংয়ে রাখা হয়েছিল। স্টারলিংকেও। ফলে ইংল্যান্ডের আক্রমণ ধারালো হয়ে উঠতে পারেনি। উপরের ছবিটি স্টারলিংয়ের।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইটালির দাপট
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও ইটালির দাপট অব্যাহত ছিল। তবে মাঝে মাঝে আক্রমণে যাচ্ছিল ইংল্যান্ডও।
৬৭ মিনিটে গোল
খেলার ৬৭ মিনিটে ইটালির হয়ে গোল করেন লিয়োনার্দো বোনুচ্চি। তারপর আর কোনো গোল হয়নি। নির্ধারিত সময়ে ফলাফল থাকে ১-১। অতিরিক্ত সময়েও ফল একই থাকে।
ইটালির গোলরক্ষকের কামাল
ইটালির গোলরক্ষক ডোনারুমা দুইটি সেভ করেন। তার কৃতিত্বে ভর দিয়ে ইটালি ইউরো কাপ জিতে নেয়। ইটালির বেলোত্তি ও জর্জিনহো মিস করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে মার্কাস, সাঞ্চো ও সাকা গোল দিতে পারেননি।
স্বপ্নভঙ্গ
খেলা ছিল ঘরের মাঠে, ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। এখানেই বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে। তারপর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইংল্যান্ডের আর কোনো বড় সাফল্য নেই। তাই ইংল্যান্ডের ফ্যানদের আশা ছিল এবার দল জিতবে। তাদের স্বপ্নভঙ্গ হলো।
একরাশ হতাশা
ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা বারবার গেয়েছেন, ইটস কামিং হোম। কাপ তাদের ঘরে আসবে। স্টেডিয়াম ভরা ছিল দর্শকে। লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় বড় স্ক্রিন লাগানো ছিল। তার সামনে সমর্থকদের ভিড়। উপরের ছবিটা ট্রাফালগার স্কোয়ারের।
দ্বিতীয় ইউরো কাপ ইটালির
দ্বিতীয়বার ইউরো কাপ জিতল ইটালি। রবের্তো মানচিনির কোচিংয়ে ইটালি এখন অসাধারণ খেলছে। ফাইনালেও মানচিনির প্লেয়ার পরিবর্তন করে ইটালির আক্রমণকে ধারালো করেন।