আসছে শিশুদের ইচ্ছা পুরণের দিন
১৮ এপ্রিল ২০১১আসছে ২৯ এপ্রিল, ওয়ার্ল্ড উইশ ডে, মানে বিশ্ব ইচ্ছা পুরণ দিবস৷ এই দিন সবার না হোক, অন্তত বেশ কিছু শিশুর স্বপ্ন কিছুক্ষণের জন্য হলেও সত্য হয়ে ধরা দেবে৷ আর সেজন্য কাজ করছে মেক এ উইশ ফাউন্ডেশন৷
শুরুটা হয়েছিল বেশ আগে, সেই ১৯৮০ সালের কথা৷ যুক্তরাষ্ট্রে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশু ক্রিস গ্রেসিয়াসের ইচ্ছা পুরণের মধ্য দিয়ে৷ ভয়াবহ এই রোগে আক্রান্ত শিশুটির স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হবে৷ কিন্তু মারণব্যাধি সেই স্বপ্ন পুরণে বাধা হয়ে দাঁড়ালো৷ মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা বাচ্চাটির এই সাধ পুরণের জন্য এগিয়ে এলেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা৷ ১৯৮০ সালের ২৯ এপ্রিল গ্রেসিয়াসের মা, তাঁর কয়েকজন বন্ধু এবং পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেসিয়াসকে উপহার দিল পুলিশের ইউনিফর্ম, হেলমেট এবং ব্যাজ৷ এবং সত্যিকার পুলিশ অফিসারের মতই হেলিকপ্টারে করে ঘুরে এলো গ্রেসিয়াস৷ ঘটনাটি এতটাই নাড়া ফেললো যে শেষ পর্যন্ত কয়েকজন মিলে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুললো৷
সেই থেকে কাজ করে যাচ্ছে মেক এ উইশ ফাউন্ডেশন৷ মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অন্তত একটি সাধ পুরণ করার ব্রত নিয়ে তারা শুরু করেছে ওয়ার্ল্ড উইশ ডে৷ গত বছর প্রথমবারের মত এই ইচ্ছা পুরণ দিবস পালন করা হয়৷ বিশ্বের নানা দেশের অন্তত ২৭৫ জন শিশুর ইচ্ছা পুরণ করা হয়েছিল সেদিন৷ আসছে ২৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দিবসটিতেও বিশ্বের নানা দেশে কঠিন রোগে ভুগতে থাকা শিশুদের কাছে যাওয়া হবে, জানতে চাওয়া হবে তাদের পুরণ না হওয়া ইচ্ছাটির কথা৷ আর কিছু সময়ের জন্য হলেও শিশুটি হয়তো দেখতে পাবে তার স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার