আলোকিত প্রাণীর রাজ্য
বায়োলুমিনেসেন্স হলো জীবন্ত প্রাণীদের আলো উৎপাদন এবং তা নির্গত করার ক্ষমতা। সম্প্রতি একটি ঝলমলে হাঙরের সন্ধান পাওয়া গেছে৷ চলুন দেখি কোন কোন প্রাণী নিজেদের আলোকিত করতে পারে৷
যেগুলো আলাদা
কিছু হাঙর আছে যারা অন্ধকারে নিজের শরীরে সবুজ আভা আনতে পারে৷ নিউ ইয়র্কের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ডেভিড গ্রুবার খুঁজে পেয়েছিলেন সেই অণু যা হাঙ্গরটিকে আলোকিত করে৷
উজ্জ্বল রঙ
ছোট টেরোফিলিয়াম স্কেলারে সাধারণত ‘অ্যাঞ্জেলফিশ’ নামে পরিচিত৷ জন্মগতভাবে এই মাছটি উজ্জ্বল আভা ছড়াতে পারে৷ প্রকৃতিতে এমন অনেক উদাহরণ আছে৷
পানির নিচে আলো
পানিতে আলোড়ন সৃষ্টি হলে জেলিফিশ জ্বলতে শুরু করে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়োলুমিনেসেন্স হলো একাকী বা ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নিজের মধ্যে আলো উৎপাদন করার ক্ষমতা৷ ১৮০টিরও বেশি প্রজাতির বায়োলুমিনসেন্ট মাছ রয়েছে৷
পেছন দিক আলোকিত
জ্বলজ্বল করা প্রাণীর উদাহরণ হলো জোনাকি৷ এরা লুসিফেরিন উৎপাদন করে যা অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আলো ছড়ায়৷ পুরুষ এবং মহিলা জোনাকি আলোর মাধ্যমে সংকেত পাঠিয়ে একটি আরেকটির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
গভীর সমুদ্রে আলো
গভীর সমুদ্রের নিজেকে আলোকিত করার ক্ষমতা রাখে এমন অনেক মাছ রয়েছে, এর মধ্যে একটি হলো ‘হ্যাচেট’৷ গভীর সমুদ্রের কিছু প্রাণী নিজেকে আরও বেশি আলোকিত করতে আলো উৎপাদন৷ আর অন্যরা ওই আলো শিকারকে আকর্ষণ করতে ব্যবহার করে।
প্রাণী এবং আলো
জেনেরিক ইঞ্জিনিয়াররা তাত্ত্বিকভাবে সব প্রাণীকে আলোকিত করতে পারেন৷ উরুগুয়ের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই ভেড়াটি তৈরি করেছে, যেটিকে ইউভি লাইটের নিচে রাখল সবুজ দেখায়৷