আলজিরিয়া, আরব অঞ্চলে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ
২৩ জানুয়ারি ২০১১গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি
গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে শনিবার কয়েক শত মানুষ আলজিরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে৷ প্রতিবাদকারীরা সংসদের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়৷ এসময় গণতন্ত্রপন্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়৷ সরকার বিরোধীপক্ষ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪২ জন আহত এবং দু'জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানায়৷ তবে সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১৯ জন, এদের মধ্যে আট পুলিশ সদস্য রয়েছে৷ বিক্ষোভকারী অনেকের হাতে আলজিরিয়ার পতাকার সঙ্গে টিউনিশিয়ার পতাকাও দেখা গেছে৷ এই আন্দোলনের সঙ্গে টিউনিশিয়ার সাম্প্রতিক আন্দোলনেরও মিল খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ বিশেষ করে, একটি মুক্ত আলজিরিয়া এবং একটি গণতান্ত্রিক আলজিরিয়া'র দাবি ছিল বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে৷
ইয়েমেন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ইয়েমেনের সানা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সেদেশের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে৷ তবে, এসময় প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ'র পক্ষেও অবস্থান নেয় একদল শিক্ষার্থী৷ প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা টিউনিশিয়ার বিপ্লব থেকে সরকারকে শিক্ষা নেওয়ার দাবি জানায়৷ বলাবাহুল্য ২০০৬ সালে আলি আব্দুল্লাহ সালেহ পুর্ননির্বাচিত হন৷ বর্তমানে তাঁর ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে৷
মিশরে আন্দোলনের প্রস্তুতি
মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরোধীরা মঙ্গলবার সেদেশে দিনব্যাপী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে৷ ২০০৫ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ী মিশরের শীর্ষস্থানীয় সরকার বিরোধী ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আল-বারাদেই বলেছেন, যদি টিউনিশীয়রা এটা করতে পারে, তাহলে মিশরীয়রাও তা পারবে৷ বলাবাহুল্য, দিনকয়েক আগে টিউনিশিয়ায় আন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন সেদেশের প্রেসিডেন্ট বেন আলি৷
টিউনিশিয়া অব্যাহত আন্দোলন
নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে টিউনিশিয়ার সাধারণ মানুষ৷ কেননা, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন পলাতক প্রিসিডেন্ট বেন আলি'র ঘনিষ্ঠরা৷ জনগণ তাদেরকে সরকারে দেখতে চায় না৷ টিউনিসে এই আন্দোলনে শনিবার কয়েক শত পুলিশ সদস্যও যোগ দেয়৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই