1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমেরিকার সাথে ইংল্যান্ডের ১-১ গোলে ড্র

১৩ জুন ২০১০

রুস্টেনবুর্গের রয়াল বাফোকেনিং স্টেডিয়াম৷ খেলার মাত্র চার মিনিট পেরিয়েছে৷ ইংলিশ অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ডের নৈপুণ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রথম গোল৷ কিন্তু ঠিক ৪০ মিনিটে খেলায় সমতা৷ ১-১ গোলে ড্র ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার মধ্যে৷

https://p.dw.com/p/NpTm
ইংল্যান্ড ও আমেরিকার খেলোয়াড়দের মধ্যে বলযুদ্ধছবি: AP

খেলায় সমতা আনার কৃতিত্ব যতটা না পেয়েছেন মার্কিন ফুটবলার ক্লিন্ট ডেম্পসি, তার চেয়ে বেশি দায় চেপেছে ইংলিশ গোলকিপার রবার্ট গ্রিনের ঘাড়ে৷ কারণ গ্রিনের হাত ফস্কে যাওয়ার কারণেই এই গোলটি সম্ভব হয়, বলে সমালোচকদের দাবি৷ উল্টো বলের দোষ দিতেও পিছপা হননি অনেকেই৷ আর এই দলে স্বয়ং রয়েছেন গ্রিনের প্রতিপক্ষের গোলকিপার টিম হাওয়ার্ডও৷

হাওয়ার্ড যেমন বললেন, ‘‘আমার সহানুভূতি গ্রিনের জন্য৷ তিনি বেশ কয়েকবার খুব ভালোভাবেই নিজের দলকে বাঁচিয়েছেন৷ কিন্তু আমরা সারা সপ্তাহ জুড়ে যেমনটি বলে আসছিলাম, তেমনি কিছু বাজে ঘটনা ঘটাচ্ছে এই বলটি৷'' গ্রিনের ঘাড়ে খুব বেশি দোষ চাপাতে নারাজ স্বয়ং কোচ ফাবিও কাপেল্লো৷ কারণ দ্বিতীয়ার্ধে জোজি আল্টিডোর এবং আরো কয়েক লড়াকুর আক্রমণ বেশ ভালোভাবেই সামলিয়েছেন গ্রিন৷ তাই কাপেল্লোর ভাষ্য, ‘‘তিনি একটি ভুল করেছেন কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বেশ বড় বাঁচা বাঁচিয়েছেন৷ আমি তাঁর প্রতি খুশি৷''

England - USA WM Weltmeisterschaft Tor Flash-Galerie
নিজের ভুলে গোল হওয়ার পর গ্রিনের আফসোসছবি: AP

কাপেল্লো আরো বলেন, ‘‘আমরা অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছিলাম৷ ইতিবাচক অনেক কিছু থাকলেও, ফলাফলটিই শুধু ইতিবাচক নয়৷'' অধিনায়ক জেরার্ডও গ্রিনের বদলে বরং বলের উপরই দোষ চাপিয়েছেন৷ আর শেষ পর্যন্ত আমেরিকাকে না হারাতে পেরে জেরার্ডের স্বপ্ন গ্রুপের অপর সদস্য স্লোভেনিয়া এবং আলজিরিয়ার বিরুদ্ধে জয়৷ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করার জন্য লক্ষ্য এখন সাত পয়েন্ট, বলেন জেরার্ড৷

এই খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ মার্কিন গোলকিপার টিম হাওয়ার্ড৷ আর ৯০ মিনিটের খেলায় উভয় দলের লড়াকুরা পেয়েছেন তিনটি করে হলুদ কার্ড৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী