1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমার কেন বিচার হবে?'

৬ অক্টোবর ২০১৯

বাবাকে তুরস্ক যাওয়ার কথা বলে ১৭ বছর বয়সে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় গিয়েছিলেন কসভোর এক তরুণী৷ পাঁচ বছর পর গত এপ্রিলে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়৷

https://p.dw.com/p/3Qn44
ঘরেও নিকাব পরে থাকেন লরাছবি: DW

লরা (প্রকৃত নাম নয়) ছাড়াও ১০৯ জন নাগরিককে গত এপ্রিলে দেশে ফিরিয়ে আনে কসভো৷ এর মধ্যে ৩২ জন নারী, ৭৪ জন শিশু ও চারজন পুরুষ রয়েছেন৷ তাঁদের সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হচ্ছে৷ মনোবিদ দিয়ে চিকিৎসাও চলছে৷

সম্প্রতি ফিরে আসা এক তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷ নিরাপত্তার স্বার্থে তার প্রকৃত নাম গোপন রেখে লরা নামটি ব্যবহার করা হচ্ছে৷

লরার বয়স এখন ২২৷ এরই মধ্যে দুবার বিধবা হয়েছেন৷ ১৭ বছর বয়সে একজনের সঙ্গে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি৷ ঐ ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার৷ দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে লরার একটি সন্তান রয়েছে৷ আড়াই বছর বয়সি ঐ সন্তান এখন লরার সঙ্গেই আছে৷ সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ না করতে ডয়চে ভেলেকে অনুরোধ করেছে লরার পরিবার৷ এপ্রিলে দেশে ফেরার পর লরা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আছেন৷ রকেট হামলায় প্রাণ হারান লরার দ্বিতীয় স্বামী৷

এরপর বলকান অঞ্চলের আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে হয় লরার৷ তৃতীয় স্বামী এখন সিরিয়ায় কুর্দিদের হাতে বন্দি৷

আইএস-এর দাসত্ব থেকে মুক্ত করার লড়াই

লরার পরিবারের অন্য মেয়েরা রঙিন কাপড় পরলেও তিনি এখনো নিকাব পরেন৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি আইএস-এর চালানো হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে কথা শুনতে ও বলতে চাননি৷

অবশ্য আইএস-এ যোগ দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন লরা৷ তবে এজন্য কেন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, তা বুঝতে পারছেন না৷ ‘‘আমরা (তিনিসহ ফেরত আসা অন্য নারীরা) শুধু ঘরে ছিলাম৷ আমরা কিছু করিনি৷ আমাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না৷ আমরা শুধু আমাদের পুরুষদের অনুসরণ করেছি,'' বলেন লরা৷ তিনি নিজেকে একজন ভুক্তভোগী মনে করেন এবং আশা করছেন তার কোনো শাস্তি হবে না৷ লরা শুধু সমাজের সবার সঙ্গে মিশতে চান৷ তবে সবাই যেন তাকে তার পোশাকসহই গ্রহণ করেন, সেটিও চান লরা৷

আইএস-এর হয়ে যুদ্ধ করা কয়েক হাজার বিদেশি নাগরিক এখন সিরিয়ায় কুর্দিদের হাতে বন্দি৷ কুর্দিদের সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপের দেশগুলোকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ কিন্তু জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ অন্য দেশগুলো তাঁদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে৷

তবে ইউরোপের একমাত্র দেশ হিসেবে কসভো গত এপ্রিল মাসে ১১০ জন নাগরিককে ফিরিয়ে আনে৷ দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় অ্যান্টি-টেররিজম কর্মকর্তা ফাতোস মাকোলি জানান, কুর্দিদের হাতে আটক বিদেশি সাবেক জঙ্গিদের হয়ত বেশিদিন আটকে রাখা সম্ভব হবে না৷ কোনোভাবে তারা বের হয়ে আসতে পারলে আবারও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ তাই কসভো মনে করেছে, নিজের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনলে তাদের নজরে রাখা যাবে৷ চিকিৎসা দিয়ে তাদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হতে পারে৷

মাটিয়াস ফন হাইন, এস্থার ফেলডেন, বাহরি চানি/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান