বেন জনসন
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩বেন জনসন এমনকি ট্র্যাকে নেমেও দেখেন৷ ‘‘ফিরে ভালো লাগছে,'' এএফপি সংবাদ সংস্থার রিপোর্টারকে বলেন প্রাক্তন ট্র্যাক স্টার৷ ‘‘এখানেই ইতিহাস তৈরি হয়েছিল৷ কেউ বলবে বাজে ইতিহাস, কিন্তু আমি তা মনে করি না৷''
১৯৮৮-র ১০০ মিটার ফাইনালে জনসনই প্রথম ব্লক ছেড়ে বেরোন – তারপর তাঁর চরম প্রতিদ্বন্দ্বী কার্ল লিউয়িস এবং অন্যান্যদের পিছনে ফেলে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছন বিশ্ব রেকর্ড সময় ৯ দশমিক ৭৯ সেকেন্ডে৷
এর ঠিক তিনদিন পরেই তাঁর কাছ থেকে মেডেল ও রেকর্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়৷ পরে দেখা যায়, অ্যাথলিট হিসেবে তাঁর ক্যারিয়ারের অন্ত ঘটেছে সৌলের ঐ ট্র্যাকে৷ ড্রাগ টেস্টে তাঁর শরীরে স্ট্যানোজোলল নামের একটি নিষিদ্ধকৃত অ্যানাবোলিক স্টেরয়েডের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল৷
‘ইতিহাসের সবচেয়ে নোংরা রেসের' আটজন প্রতিযোগীর মধ্যে ছ'জন কোনো না কোনো ডোপিং কেলেঙ্কারিতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন৷ স্বয়ং কার্ল লিউয়িস ইউএস অলিম্পিক ট্রায়ালে স্টিমিউল্যান্টস ব্যবহার করেছেন বলে জানা যায়৷
১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টায় ‘সবচেয়ে নোংরা রেসটি' শুরু হয়েছিল৷ তার ঠিক পঁচিশ বছর পরে জনসন ঠিক সেই ছ'নম্বর লেনের সূচনাতে গিয়ে দাঁড়ান – তারপর পায়ে হেঁটে ট্র্যাকের ১০০ মিটার পার হয়ে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছনোর পর আঙুল আকাশে তুলে তাঁর সেই ১৯৮৮ সালের বিজয়ীর ভঙ্গিমাটির পুনরাবৃত্তি করেন৷
জনসন যখন ট্র্যাক ধরে হাঁটছেন, তখন তাঁর পিছন পিছন দু'জন স্বেচ্ছাসেবী ১০০ মিটার লম্বা একটি গোটানো পিটিশন খুলতে থাকে৷ পিটিশনটিতে গত এক মাস ধরে সংগ্রহ করা তিন হাজার সাতশো'টি স্বাক্ষর ছিল৷
‘‘নিশ্চয় আমি অনুতাপ, অনুশোচনা বোধ করছি, কিন্তু সেটা আমার জীবনে আর সবচেয়ে বড় কথা নয়৷ আমি ওটাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে গেছি,'' বলেন জনসন৷ তবে তাঁর প্রতি অবিচার করা হয়েছে, বলে জনসনের ধারণা, কেননা সে সময় অ্যাথলেটিক্সে ড্রাগের ব্যবহার ব্যাপক ছিল৷
‘‘আমাকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল৷ ২৫ বছর পরে আমাকে এখনো সাজা দেওয়া হচ্ছে৷'' রেপিস্ট এবং খুনিরাও কালে ছাড়া পায়, বলেন জনসন৷ তিনি সৌলে এসেছিলেন ‘আইচুজদ্যরাইটট্র্যাক' প্রচার অভিযানের প্রতিনিধি হিসেবে৷ অভিযানটি বিশ্বব্যাপী এবং তার উদ্দেশ্য হল অ্যাথলেটিক্সে ড্রাগ ইউজ বন্ধ করার জন্য নতুন নতুন স্ট্র্যাটেজির উদ্ভাবন করা৷
জনসনের শেষ কথা: তিনি নাকি সে আমলে ড্রাগস ছাড়াই ১০০ মিটার দৌড়ে জিততে পারতেন৷
এসি / এসবি (এএফপি, রয়টার্স)