থাকছেন জাফর ইকবাল
২৭ নভেম্বর ২০১৩ফেসবুকে ‘‘সাস্টের জাফর ইকবাল স্যার সাস্টেই থাকবেন'' শীর্ষক পাতাটি চালু হয় মঙ্গলবার৷ দাবি ছিল, পদত্যাগ-পত্র জমা দেওয়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে আবারো স্বপদে ফিরিয়ে আনা৷ শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের পর মঙ্গলবার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন অধ্যাপক ইকবাল এবং তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমীন হক৷
জনপ্রিয় এই দুই অধ্যাপকের পদত্যাগের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে৷ শিক্ষার্থীরাসহ অনেকেই তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান৷ বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে ‘‘সাস্টের জাফর ইকবাল স্যার সাস্টেই থাকবেন'' পাতায় লেখা হয়, ‘‘জাফর স্যার থাকবেন সমন্বিত পরীক্ষা হবে৷''
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলা ব্লগ সাইটগুলোতে জাফর ইকবালের পদত্যাগ নিয়ে অসংখ্য নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছে৷ আমারব্লগ ডটকমে তুষার শুভ্র লিখেছেন, ‘‘শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যারের পদত্যাগ মেনে নিতে পারছি না৷'' একই ব্লগ সাইটে হোসাইন সাজিদ মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘ধিক্কার জানাই সেই সকল সিলেটিদের যারা জাফর ইকবাল স্যারকে অসম্মান করেছে, যারা জাফর ইকবাল স্যারের মুখ নীচু করতে বাধ্য করেছে৷ যবিপ্রবির উপাধ্যক্ষকে খুব বড় মুখ করে বলে এসেছিলো একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া সহ ছাত্র-ছাত্রীদের আরো অনেক সুবিধা দেওয়ার কথা৷ কিন্তু সিলেটিরা সেই বড় মুখ কে ছোট করেছে নির্দ্বিধায়৷''
বাংলা ব্লগ সাইট সামহয়্যার ইন ব্লগে তুষারের লেখার শিরোনাম, ‘‘বিশ্বাস করুন, আমরা সিলেটীরা ৫০% কোটা চাই না৷'' এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘একটা জিনিস অবাক লাগলো; বিসিএসে কোটা বাতিলের দাবিতে যে বামরা সবচেয়ে সোচ্চার ছিল, তারাই এখন ৫০% কোটার দাবিতে অটল৷''
উল্লেখ্য, শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত জানানোর পর বুধবার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ইয়াসমীন হক৷ এরপর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইয়াসমীন হক বলেন, ‘‘তোমাদের ছেড়ে আমরা যেতে পারি? কখনো না৷ তোমাদের সঙ্গে আমরা এই ক্যাম্পাসেই থাকব৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক