1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমরা আইএস সদস্যদের হোটেল নই’

৪ নভেম্বর ২০১৯

তুরস্কে প্রায় ১৩শ' বিদেশি জিহাদি বন্দি রয়েছেন৷ এদের অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিক৷ তাদের ফিরিয়ে না নেয়ায় সেসব দেশের সমালোচনা করেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলায়মান সয়লু৷

https://p.dw.com/p/3SRXj
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলায়মান সয়লুছবি: picture-alliance/AA/V. Furuncu

শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো দেশের আইএস সদস্যদের জন্য হোটেল নই৷’’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশনস ডাইরেক্টর ফাহরেতিন আলতুন তুরস্কে আটক ২০ জার্মান আইএস সদস্যকে জার্মানিতে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন৷

সোমবার জার্মানির দৈনিক ‘স্টুটগার্টার নাখরিশটেন'-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের সহযোগীদের পুরো সহযোগিতা প্রয়োজন৷’’

আলতুন জানান, ১৬ জন জার্মান আইএস সদস্য আগে থেকেই তুরস্কে বন্দি আছেন৷ আর ৯ অক্টোবর সিরীয় কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুর্কি হামলা শুরুর পর আরও চারজন জার্মান আইএস সদস্যকে আটক করা হয়েছে৷

তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর হাতে প্রায় ১১ হাজার আইএস সদস্য বন্দি রয়েছেন৷ তাদের উত্তরপূর্ব সিরিয়ার বিভিন্ন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে৷ এদের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে জানা গেছে৷

জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, ৮০ জনের বেশি জার্মান আইএস সদস্য সিরিয়া ও ইরাকে বন্দি রয়েছেন৷

ইউরোপের দেশগুলো এখনও পর্যন্ত আইএস-এ যোগ দেয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে অনীহা দেখাচ্ছে৷ রাজনৈতিক তোপের মুখে পড়ার ভয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়ার জটিলতা এবং সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় আইএস সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চাইছেনা দেশগুলো৷

এছাড়া নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও যুক্তরাজ্য দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা আইএস সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিংবা তাদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে৷

এদিকে, জার্মানিতে গত জুনে একটি আইনে পরিবর্তন আনা হয়৷ এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো দ্বৈত নাগরিক বিদেশি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলে নাগরিকত্ব হারাতে পারেন৷

চেজ ভিন্টার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য