আব্দুল আলীমকে কারাগারে পাঠানো হলো
২৮ মার্চ ২০১১আব্দুল আলীমকে জয়পুরহাট থেকে পুলিশ সরাসরি ট্রাইবুন্যালে নিয়ে আসে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে৷ সকাল ১০টায় ট্রাইবুন্যালের কাজ শুরু হলে তাকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হয়৷ প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে ধরেন৷ অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার নির্দেশ ও নেতৃত্বে জয়পুরহাট সীমান্ত এলাকায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়৷ তিনি তখন মুসলিম লীগ ও শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন৷ পঁচাত্তরের ১৫ই আগষ্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি জিয়া মন্ত্রীসভার সদস্য হন৷ প্রসিকউটর তাকে আটকের আবেদন জানালে তার আইনজীবী তাজুল ইসলাম এর বিরোধিতা করেন৷ আদালত শুনানি ৩১শে মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি করেন৷
আদালতের কাজ শেষ হওয়ার পর চিফ প্রসিকউটর গোলাম আরিফ বলেন, আব্দুল আলীমকে কারাগারের বাইরে রাখা হলে সাক্ষীরা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন৷
আব্দুল আলীমের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি অসুস্থ এবং তিনি কাউকে ভয় ভীতি দেখিয়েছেন বলে কোন প্রমাণ প্রসিকিউশন আদালতে হাজির করতে পারেনি৷
আদালত পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখতে বলেছেন৷
প্রসিকিউশনের আবেদনে সাড়া দিয়ে গতকাল আব্দুল আলীমকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ট্রাইবুন্যাল৷ তাকে গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল৷ পুলিশ তা কার্যকর করেছে৷
এ পর্যন্ত আব্দুল আলীমসহ মোট ৭ জনকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার করা হল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন