আবার হামলা বোকো হারামের
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অশান্ত নাইজেরিয়া৷ বর্নো অঞ্চলে আবার আঘাত বোকো হারামের৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
কেমন আছে নাইজেরিয়া
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে চলে আসছে চরমপন্থি ইসলামিস্ট সংগঠন বোকো হারামের কার্যকলাপ৷ তাদের তৎপরতা ও সহিংসতার কারণে নাইজেরিয়ার প্রায় ৭০ লাখ বাসিন্দা বর্তমানে মানবসংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন৷ বোকো হারামের এককালীন ঘাঁটি ছিল উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়ার মাইদুগুরি অঞ্চল৷ এছাড়াও তাদের প্রভাব ছড়ায় আদামাওয়া, বর্নো, গোম্বে ও ইওবে অঞ্চলেও৷
চরমপন্থি ইসলামিস্টদের সাথে যোগ
২০১১ সালে বলা হয়, আল-কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাঘরেব বা আকিমের সাথে যুক্ত রয়েছে বোকো হারাম৷ ধীরে ধীরে, তাদের চরমপন্থি মতবাদের প্রতি সমর্থন স্পষ্ট হতে শুরু করে৷ ছবিতে রয়েছে আইসিসের একটি গাড়ি, যা ২০১৯ সালে নাইজেরিয়াতে দেখা যায়৷ সেই বছরই ইসলামিক স্টেটের একটি গোষ্ঠী আইএসডাব্লিউএপি বোকো হারাম ছেড়ে বেরিয়ে আসে৷ কারণ, বোকো হারামের সাধারণ জনগণের ওপর সহিংসতা প্রতি সমর্থন ছিল না তাদের৷
গ্রেপ্তার
২০১৮ সালে ২৭৬ কিশোরী অপহরণের একটি ঘটনায় বোকো হারামের দিকে ওটে অভিযোগের আঙুল৷ গ্রেপ্তার করা হয় আট সন্দেহভাজনকে৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাদের থেকে পাওয়া অস্ত্র৷ বোকো হারামের কার্যকলাপের মধ্যে বড় অংশ জুড়ে ছিল সাধারণ নারী ও কিশোরীদের অপহরণ ও অত্যাচার৷
অপেক্ষায় পরিবার
২০১৮ সালের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে চিবোক অঞ্চলে৷ মোট ২৭৬জনের মধ্যে থেকে ৫৭জন পালিয়ে আসে৷ পরে, বোকো হারামের সাথে আলোচনার ফলে আরো ১০৭জনকে ছেড়ে দেয় তারা৷ কিন্তু এখনও আরো ১১২জনের কোনো খোঁজ নেই৷ ছবিতে অপেক্ষারত সেই মেযেদের পরিবারের চিত্র৷
সর্বশেষ হামলা
মাইদুগুরির পাশে জাবারমারির একটি ক্ষেতে কর্মরত ৪৩জন কৃষককে হত্যা করা হয়৷ শনিবার ধানক্ষেতে তারা কাজ করার সময় বাইকে চেপে একদল সন্ত্রাসী এসে তাদের হাত-পা বাঁধে ও পরে গলা চিরে হত্যা করে৷ মৃতের অধিকাংশই বাইরে থেকে আসা কৃষিকর্মী৷ বর্নো অঞ্চলেই স্থানীয়দের মধ্যে তাদের জানাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
অভিযোগ বোকো হারামের দিকে
যদিও এখনও এই হামলার দায়স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী, কিন্তু এমন হামলা এই অঞ্চলে এর আগেও চালিয়েছে বোকো হারাম ও আইএসডাব্লিউএপি৷ এই নৃশংস হত্যার নিন্দা জানিয়েছে নাইডেরিয়া কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘ৷