1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার চোটের খাঁড়া, এবার বাদ পর্তুগালের নানি

৯ জুন ২০১০

চোট আঘাত আর একের পর এক তারকাদের বাদ পড়া৷ ২০১০ বিশ্বকাপের অন্য নাম হয়ে থেকে যাচ্ছে এই চোট আঘাত সমস্যাই৷ মঙ্গলবার কাঁধের হাড়ে চোট পেয়ে বাদ পড়লেন পর্তুগালের তারকা উইঙ্গার নানি৷

https://p.dw.com/p/NlcB
নানিকে দেখা যাবেনা বিশ্বকাপেছবি: AP

জার্মান ক্যাপ্টেন মিশায়েল বালাককে দিয়ে শুরু হয়েছিল৷ বিশ্বকাপের আগে কোথায় গিয়ে যে সেই চোট আঘাতের আতঙ্ক থামবে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না৷ সোমবার জোহানেসবার্গে মোজাম্বিকের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে খেলতে নেমে সর্বশেষ বাতিলের তালিকায় পর্তুগালের নানি৷ পর্তুগালের এই অভিজ্ঞ উইঙ্গারের ওপর যথেষ্ট ভরসা রয়েছে কোচ কার্লোস কুইরোজ-এর৷ সেই ভরসাতেও জলাঞ্জলি হয়ে গেল শেষ পর্যন্ত, তাও আবার বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক দুইদিন আগে৷

খেলতে খেলতে কাঁধে চোট পান নানি৷ চোট লাগে তাঁর কলার বোন-এ৷ বা কাঁধের হাড়ে৷ তারপরেও তিনি বলতে থাকেন, ‘খেলতে পারবো আমি৷ কিছুই হয়নি৷ একটু বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাব৷' কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষার পর স্পষ্ট বোঝা যায়, চিড় ধরেছে হাড়ে৷ ভালোরকম চিড়৷ চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, আগামী একমাস মাঠে নামা অসম্ভব নানির পক্ষে৷

অতএব নানি বাদ৷ তাঁর জায়গায় মূল দলে চলে এলেন বেনফিকার খেলোয়াড় রুবেন আমোরিম৷ কোচ কুইরেজ বলছেন, নানির বাদ যাওয়াটা খুবই দুঃখজনক৷ কিন্তু, আমাকে দলের মধ্যে ভারসাম্য আর বোঝাপড়া বজায় রেখে চলতে হবে৷ দলের ছন্দটা যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হতে বেশিক্ষণ লাগবে না৷

সে তো কোন নতুন কথা নয়! অতএব আমোরিমকে দিয়েই আপাতত ঠেকা দিতে চেষ্টা করবেন কুইরেজ৷ তবে পর্তুগাল দলের মহাতারকা খেলোয়াড় ক্রিস্চিয়ানো রোনাল্ডো বেশ ফিট৷ রয়েছেন দারুণ ফর্মেও৷ মঙ্গলবারের প্রীতি ম্যাচে রোনাল্ডো সামান্য সময়ের জন্য মাঠে নেমেওছিলেন৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা বোঝা গেছে দর্শকদের সহর্ষ অভিনন্দনে৷ মোজাম্বিকের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচটায় মঙ্গলবার ৩-০ জিতেছে পর্তুগাল৷ বিশ্বকাপের একেবারে মুখে সেই বিজয় দলের মনোবল বাড়াবে যে তাতে সন্দেহ নেই৷ কিন্তু, বিনিময়ে একজন নির্ভরযোগ্য উইঙ্গারকে খোয়ানোটাও যথেষ্ট দুঃসংবাদ বৈকি৷

আসলে দুর্ঘটনাকে কে আর রুখতে পারে! এমন দুর্ঘটনা আরও যে কতগুলো ঘটবে এই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত! তাও বা কে বলতে পারে? কেউই না৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : জাহিদুল হক