1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় কাজে লাগছে মোবাইল প্রযুক্তি

৩১ মার্চ ২০১১

স্বাস্থ্য সেবা বা মানুষকে সুস্থ রাখার জন্যে সেল ফোনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে আফ্রিকাতে৷ এইডস প্রতিরোধে নতুন ওষুধ নেওয়ার কথা রোগীকে একদম নিরপেক্ষভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেল ফোনে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে৷

https://p.dw.com/p/10kxh
ছবি: AP

দক্ষিণ আফ্রিকায় এইচআইভি চিকিৎসায় নিয়োজিত সর্ববৃহৎ যে অঞ্চলটি, সেখান থেকেই বিনামূল্যে এই টেক্সট মেসেজ পাঠানো হচ্ছে৷ ৬২ কোটি ৪০ লাখ মোবাইল ফোন গ্রাহককে সামনে রেখে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷

৪০ বছর বয়স্ক রোগী এমিলি মলেটসানে৷ তিনি বললেন, ‘‘আমি সবসময় মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখি, আর সে কারণেই আমার মনে হয়, এই পদক্ষেপ খুব কাজে আসবে৷'' প্রায় দশ হাজার মানুষ নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার এই টেক্সট বার্তা চাইছেন৷ এই পর্যন্ত এই মেসেজের ব্যাপক সফলতা দেখা গেছে৷ ২০০৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেখা গেছে, ডাক্তারের কাছে যাবার নির্দিষ্ট সময় অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন৷ আর এই ভুলে যাওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল শতকরা ১৫ ভাগ৷ কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা শতকরা ৪ ভাগে নেমে এসেছে৷

একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আফ্রিকা একটি দরিদ্র দেশ এবং এর হাসপাতাল পরিষেবাও ভালো নয়, কিন্তু সেল ফোনের গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশটি ধনী, এই কথা বলতেই হবে৷ আর এই কারণেই সেল ফোনের মাধ্যমেই স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে৷

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার ২২ শ চিকিৎসক এবং লাইবেরিয়ার ১৪৩ জন চিকিৎসক দারিদ্র্য মোকাবিলা সংস্থা ‘আফ্রিকা এইডস এমডিনেট নেটওয়ার্ক'এ সই করেছেন৷ এর ফলে তারা অন্যান্য চিকিৎসকের সঙ্গে বিনামূল্যে ফোনে কথা বলতে এবং টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পারবেন৷ ঘানায় ফোন নাম্বারের জন্যে জাতীয়ভাবে একটি ডিরেক্টরি প্রকাশ করা হয়৷ ঘানার শিশু চিকিৎসক ফ্র্যাঙ্ক সেরেবর৷ তিনি রাজধানী আক্রাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খোঁজার জন্যে একটি পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেছেন৷ বিশেষ করে যারা নবজাতক শিশুদের জরুরি সার্জারির সঙ্গে জড়িত৷ তিনি বলেন, আমি যা করি তা হচ্ছে, ডিরেক্টরিটি হাতে নিই এবং সেই রোগ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খোঁজা শুরু করি৷ দ্রুত সব ব্যবস্থা করি এবং এবং এ্যাম্বুলেন্সও পৌঁছে গিয়ে রোগীর জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে৷ বিনামূল্যের এই নেটওয়ার্কের আওতায় এপর্যন্ত আড়াই লাখেরও বেশী কল করা হয়েছে বলে তিনি জানালেন৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন