আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন স্যামুয়েল ইটো
২১ ডিসেম্বর ২০১০ক্যামেরুনের নেকন শহরে ১৯৮১ সালের ১০ মার্চ জন্ম ইটোর৷ আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ১৬তম জন্মদিনে ১৯৯৭ সালে৷ কোস্টারিকার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ ছিল সেটি৷ পরের বছরই বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলে ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন ইটো৷ তখন থেকেই ইটোর ভাগ্যে জুটতে থাকে একের পর এক সাফল্য৷ ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন ইটো৷ আর এবার ২০১০ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন আইভরি কোস্টের দিদিয়ের দ্রগবা এবং ঘানার আসামোয়াহ গায়ানের মতো তারকাদের পেছনে ফেলে৷
এর আগে নব্বই এর দশকে তিনবার আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার কৃতিত্ব ছিল আবেদি পেলের৷ কিন্তু এবারের সাফল্যের ফলে আবেদি পেলেকে ছাড়িয়ে গেলেন ইটো৷ অবশ্য, এই কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত হলেও ইটো এবার বলেই ফেলেছেন যে, আফ্রিকায় বর্তমানে অনেক ভালো ফুটবলার রয়েছে এবং আরো প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরি হচ্ছে৷ ফলে তাঁর বর্ষসেরা হওয়ার পালা হয়তো এবারই শেষ৷ কায়রোর জমকালো অনুষ্ঠানে সম্মানজনক এই পদক গ্রহণের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এতো বড়মাপের প্রতিপক্ষদের হারিয়ে চতুর্থবারের মতো আবারও এমন বিজয় খুবই আনন্দের৷''
ইটোর গোলের সুবাদেই গত মৌসুমে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ তিনটি শিরোপা পেয়েছে ইন্টার মিলান৷ গত শনিবারও ইটোর গোল জয় এনে দিয়েছে ইটালীয়দের৷ আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন মাজেম্বে এঙ্গলেবের্টকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে ইন্টার মিলান৷
এর আগে গত জানুয়ারিতে অ্যাঙ্গোলায় অনুষ্ঠিত ন্যাশন্স কাপে দু'টি গোল করে ১৮ টি গোলের রেকর্ড গড়েন ইটো৷ দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে দলের পক্ষে গোল করলেও শেষ পর্যন্ত ক্যামেরুনের খারাপ ফলাফলকে তাঁর ফুটবল জীবনের সবচেয়ে হতাশাজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছিলেন ইটো৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম