আফ্রিকান নারীদের জন্য নোবেল প্রচার অভিযান
২৬ মে ২০১১এই বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু হলো রোমে বুধবার৷ আফ্রিকা মহাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে মেয়েদের অগ্রণী ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোও এই অভিযানের লক্ষ্য৷ যাতে আফ্রিকান মহিলাদের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার পথ প্রশস্ত করা যায়৷
প্রায় ৪৯টি সেবা প্রতিষ্ঠান প্রথম যৌথ শান্তি পুরস্কারের জন্য আফ্রিকান নারীদের মনোনয়ন দিয়েছে৷ এখন এই প্রতিষ্ঠানগুলো কুড়ি লক্ষ সই যোগাড় করে সুইডেনের নোবেল কমিটির কাছে পেশ করবে৷
ক্যামেরুনের সংস্থা ফেমনেটের প্রধান সিলভি জ্যাকলিন দংমো জানান, ‘আমরা যাদের কথা বলছি তারা সবসময়ই মা, বোন, কন্যা এবং স্ত্রী কিন্তু তাদের নিজস্ব কোন পরিচয় নেই৷ অথচ এসব মহিলারা দিন-রাত, প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করছে৷ তারা কর্মঠ৷ এসব মহিলা শক্তি, আশা এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা৷ অথচ তারা সবসময়ই পুরুষদের ছায়ায় চলাফেরা করেছে, নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে৷'
সিলভি জ্যাকলিন আরো বলেন, নোবেল পুরস্কার আফ্রিকান নারীদের ত্যাগের কথা বলবে৷ তাদের ওপর অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ এবং যৌনাঙ্গচ্ছেদের কাহিনী বিশ্ববাসীকে জানাবে৷
আফ্রিকার কৃষিকাজে প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলা নিয়োজিত৷ আফ্রিকার ভোগ্যপণ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলাদের হাতে তৈরি৷ কিন্তু কখনোই তাদের নিজস্ব ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান তৈরির অনুমতি দেয়া হয়নি৷
নোবেল প্রাইজ ফর আফ্রিকান ওম্যান সংক্ষেপে ‘নোপাও' প্রচারাভিযানের সঙ্গে যুক্ত গিডো বারবেরা জানান, মহিলারাই হচ্ছে আফ্রিকার মূল চালিকাশক্তি৷ তারা সবসময়ই একসঙ্গে কাজ করে৷ তারা কখনোই একজন আরেকজনকে পেছনে একা ফেলে চলে যায় না৷ এসব মহিলা হল সহযোগিতার প্রতীক৷ তাদের সংগ্রাম, বেঁচে থাকার প্রেরণা, এগিয়ে যাওয়ার কঠিন মানসিকতাই তাদের নোবেল পুরস্কারের যোগ্য করে তুলেছে৷
ইটালির পররাষ্ট্র দপ্তরের জুনিয়র মন্ত্রী স্তেফানিয়া ক্রাক্সি এই প্রচার অভিযানকে শান্তি আর নিরাপত্তার জন্য এক নতুন কৌশল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার সুযোগ বলে অভিহিত করেছেন৷ তিনি বলেন: ‘‘আফ্রিকার মেয়েদের হাতেই রয়েছে গোটা মহাদেশের ভাগ্যের চাবি৷''
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক