1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযোগে পাকিস্তানে বিক্ষোভ

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০

পাকিস্তানি স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ আফিয়া সিদ্দিকি আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের গুলিকরে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ৷

https://p.dw.com/p/LtKL
আফিয়া সিদ্দিকির বিরুদ্ধে রায়ে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বড় শহরে হাজারো মানুষের বিক্ষোভছবি: AP

অনেক পাকিস্তানিই মনে করেন, তিন সন্তানের জননী ৩৭ বছর বয়সি এই নারী যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের' আরেক নির্দোষ শিকার৷

নিউ ইয়র্কের আদালতে আফিয়া সিদ্দিকিকে দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বড় শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন বৃহস্পতিবার৷ বিক্ষোভকারীদের একজন লাহোর হাই কোর্টের আইনজীবী আকসির আব্বাসি৷

তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে সব জায়গাতেই অভিযুক্তরা ‘বেনেফিট অফ ডাউট' বা সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্দোষ বলে বিবেচিত বলে সুবিধা পেয়ে থাকেন৷ কিন্তু আফিয়া তা পাননি বরং এক্ষেত্রে আদালত তা পেয়েছে এবং তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন৷ এটা বিচারপ্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিমালার বিরোধী৷''

২০০৮ সালে আফগানিস্তানের গজনীতে মার্কিনিদের হাতে গ্রেপ্তার হন আফিয়া৷ পড়ে থাকা একটি পিস্তল হাতে তুলে নিয়ে সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসা মার্কিন সেনাদের দিকে গুলি ছোঁড়েন তিনি৷ তার আইনজীবীরা বলছেন, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার মতো অবস্থা নেই আফিয়ার৷ আইনজীবীদের একজন এলেইন শার্প বলছিলেন, ‘‘১৮ মাস ধরে নিঃসঙ্গভাবে আটক থাকার পর তিনি আর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না৷ শেষপর্যন্ত আমিই তাকে সাক্ষ্য দিতে দাঁড় করাতে পেরেছিলাম, কিন্তু তাকে প্রস্তুত করার জন্য আমি দুই ঘন্টারও কম সময় পেয়েছি৷''

আফিয়া সিদ্দিকি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করেন৷ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকালে তাকে যারা চিনতেন তাদের সবাই বলেছেন, আফিয়া অত্যন্ত ভদ্র এবং ইসলামের প্রতি তার বিশেষ দরদ ছিল৷ ২০০৩ সালে করাচি থেকে তিন সন্তানসহ উধাও হয়ে যান তিনি৷ সেসময় আফিয়ার পরিবারের অভিযোগ ছিল গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা তাদের অপহরণ করেছে৷ এরপর আফগানিস্তানের বাগরাম কারাগারে গোপনে তাকে আটকে রাখা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ এ নিয়ে তখন অনেক মাতামাতি হলেও ২০০৮ সালে গজনীতে ওই গুলির ঘটনার আগে গণমাধ্যমে আর তার নাম শোনা যায়নি৷

নিউ ইয়র্কের আদালতে কেবল গজনীর ওই ঘটনারই বিচার হয়েছে৷ তাকে অপহরণ বা বাগরামে আটকে রাখা সংক্রান্ত অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি৷

আফিয়া সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি৷ যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা এর আগে বিভিন্ন সময়ে আল-কায়েদাকে অর্থায়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হামলা পরিকল্পনার কথা বলে এসেছেন৷ তার আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, আফিয়ার বিচার প্রক্রিয়ায় দ্বৈতনীতি অনুসরণ করেছে মার্কিন প্রশাসন৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক