আফগান-বিক্ষোভ থেকে করোনা ছড়াতে পারে: হাইকোর্ট
২ সেপ্টেম্বর ২০২১তাদের উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দিতে হবে, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবি নিয়ে জাতিসংঘের হাই কমিশনার অফ রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আফগানরা। তাদের দাবি, জাতিসংঘ তাদের একটি কার্ড দিয়েছে মাত্র। কিন্তু উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেয়নি। এই স্বীকৃতি না পেলে তারা ভারতে কাজ করতে পারবেন না। ফলে জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে উঠছে। দিল্লিতে প্রায় ২১ হাজার আফগান আছেন।
আফগানদের এই আন্দোলন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট চিন্তিত। বিচারপতি রেখা পাল্লি কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার এবং দিল্লি পুলিশকে বলেছেন, কীভাবে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা যায়, তা যেন তারা দেখে। তারা যদি উদ্যোগী না হয়, তাহলে এই বিক্ষোভ থেকে করোনা ছড়াতে পারে। বিচারপতির কথায়, ''এখান থেকে করোনা সুপার স্প্রেডার হতে পারে। অনেকে মাস্কও পড়ছেন না।''
হাইকোর্টে এই মামলা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের আইনজীবী ঋষিকেশ বড়ুয়া বলেছেন, বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। তাছাড়া তারা ভয়ে আছেন, করোনা এখান থেকে ছড়াতে পারে।
এরপরই হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, পররাষ্ট্র মন্ত্রক, দিল্লি সরকার, দিল্লি পুলিশ, দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা এবং দিল্লি জল বোর্ডকে নোটিস পাঠায়।
আবাসিকদের নালিশ হলো, নতুন দিল্লির বসন্ত বিহারের বি ব্লকে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে গত ১৫ অগাস্ট থেকে বিদেশিরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন গলি ও পার্কেও ছড়িয়ে পড়েছেন। ফলে আবাসিকরা বিপাকে পড়েছেন।
ভারতে আফগানদের নেতা আহমেদ গনি এনডিটিভিকে বলেছেন, তারা কারো কোনো সমস্যার কারণ হচ্ছেন না। তারা চান তাদের দাবি পূরণ হোক। দাবি পূরণ না হলে তারা ওই জায়গা ছাড়বেন না।
ডিডাব্লিউ বাংলার সঙ্গেও সম্প্রতি বিক্ষোভস্থলে কথা বলেছিলেন গনি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাদের উদ্বাস্তু হিসাবে স্বীকৃতি না দিলে, জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে উঠছে। কারণ, তারা কোনো চাকরি করতে পারেন না। ব্যবসা করতে পারেন না। ইউএনএইচসিআর এই স্বীকৃতি দিতে পারে। তাই তারা জাতিসংঘের এই সংগঠনের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
দিল্লিতে সাধারণত এই ধরনের অফিস আবাসিক এলাকায় হয় না। কিন্তু ইউএনএইচসিআর অফিস একেবারে আবাসিক এলাকার ভিতর। তাই এই সমস্যা।
এমনিতে দিল্লিতে এখন করোনার প্রকোপ অনেক কম। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, বড় জমায়েত থেকে করোনা ছড়িয়েছে। সেটাই আদালতের উদ্বেগের কারণ।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)