1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান মিশন বর্তমান ম্যান্ডেট মেনেই চলবে: ম্যার্কেল

২২ এপ্রিল ২০১০

মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তানে কর্মরত অবস্থায় সাতজন জার্মান সৈন্য নিহত হবার প্রেক্ষিতে এই মিশন নিয়ে জার্মানির ভিতরে সমালোচনা জোরদার হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/N3Kg
জার্মানি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/ dpa

বৃহস্পতিবার চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অবশ্য এই সমালোচনা নাকচ করে দিয়ে আফগানিস্তান মিশন অব্যাহত রাখার পক্ষেই বক্তব্য রাখলেন সংসদে৷

চ্যান্সেলর ম্যার্কেল স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করলেন যে জার্মানির নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা হবে হিন্দুকুশেও৷ সংসদে দেয়া তাঁর সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে আনা হলে উৎসাহ পাবে সব সন্ত্রাসীরা৷ তিনি সন্ত্রাসী হুমকির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আল-কায়েদা আফগানিস্তান থেকে আবার হামলার পরিকল্পনা করতে পারে৷ ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টি রয়েছে জার্মানির উপরেও৷ ফলে যারা অবিলম্বে আফগানিস্তান থেকে জার্মান সৈন্য সরিয়ে আনার দাবি তুলছেন তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার প্রতি অনুগত থাকার সাহস যদি আমাদের না থাকে তাহলে আমাদের সৈন্যদের কাছ থেকে সাহসিকতা আমরা আশা করতে পারিনা৷''

আফগানিস্তানে জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর মিশন শুরু হয় ২০০১ সালে৷ এ পর্যন্ত ৪৩ জন জার্মান সৈনিক সেখানে নিহত হয়েছে৷ গত দুই সপ্তাহে মারা গেছেন সাতজন সৈন্য৷ এই পরিস্থিতিতে মিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনা জোরদার হচ্ছে৷ বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশবাসীর বড় অংশ এই সেনা মিশনের বিরোধী৷

বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী দলের প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল অবশ্য বর্তমানের আফগানিস্তান ম্যান্ডেট চালু রাখার পক্ষেই মত দেন৷ তিনি বলেন, সৈন্যদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সঠিক৷ কেননা তাঁরা জার্মানির জন্য বিপদের মোকাবিলা করবেন সেখানেই, যেখান থেকে সে বিপদ আসছে৷

চ্যান্সেলর ম্যার্কেল একথা স্বীকার করেন যে এই মিশন চলাকালে কিছু ভুলভ্রান্তি ঘটেছে৷ কেননা লক্ষ্য ছিল অংশত অবাস্তব রকম উঁচু অথবা এমনকি ভ্রান্ত৷ পশ্চিমি কায়দার গণতন্ত্র আফগানিস্তানে আনা সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন৷

বিরোধী সবুজ দলের সংসদীয় গোষ্ঠীর নেতা ইউর্গেন ট্রিটিন সমালোচনার সুরে বলেন, এই মিশনের রাজনৈতিক লক্ষ্য কি, এই প্রশ্নের উত্তর চান তাঁরা জার্মান সরকারের কাছ থেকে৷ আর এক বিরোধী দল বামপন্থী লিংকস পার্টাই-এর সংসদীয় নেতা গ্রেগর গিজি বলেন, অবিলম্বে সৈন্য সরিয়ে আনার দাবি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক, এই বক্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত নন৷

প্রতিবেদক : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ