1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তালেবানের একাধিক হামলা

২১ মে ২০১১

মার্কিন বিশেষ অভিযানে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা৷ পাকিস্তানে ন্যাটোর তেল ট্যাঙ্কারে এবং আফগানিস্তানে সামরিক হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে তালেবান৷

https://p.dw.com/p/11Kzh
বিস্ফোরণে বিদ্ধস্ত ট্যাঙ্কারছবি: picture alliance/dpa

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক জোট ন্যাটোর তেলবাহী ট্রাকে বোমা হামলা চালানো হয়৷ আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীর জন্যই মূলত ঐ পথ দিয়ে তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ কিন্তু খাইবার অঞ্চলের তোরখাম সীমান্তের কাছে জঙ্গিদের হামলার মুখে পড়ে এই তেলের ট্রাকের বহর৷ বোমার আঘাতে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় তেলের ট্রাক৷ পরে বিধ্বস্ত তেলের ট্রাক থেকে যখন মানুষ তেল সংগ্রহের চেষ্টা করছিল তখন সেটিতে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে৷ ফলে ঘটনাস্থলে ১৬ জন নিহত হয়৷

পাকিস্তানি তালেবানের আব্দুল্লাহ আজম ব্রিগেড নামের একটি শাখা এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে৷ ঐ ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু মুসাব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে জানিয়েছে, ‘‘মার্কিনিদের বিরুদ্ধে এটি আমাদের লড়াই৷ আমাদের অঞ্চল দিয়ে ন্যাটো সৈন্যদের জন্য সকল সরবরাহ আমরা বন্ধ করতে চাই৷''

এদিকে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত প্রধান সামরিক হাসপাতালে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে৷ দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ঘটনায় ছয় জন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে৷ আহত হয়েছে আরো অন্তত ২৩ জন ছাত্র-ছাত্রী৷ হাসপাতালের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত লম্বা খাবার ঘরে এই হামলা হয়৷ তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক ইমেইল বার্তায় এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে৷

তার ভাষ্য মতে, সেখানে দুই আত্মঘাতী হামলাকারী পাঠানো হয়েছিল৷ তবে একজন ঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে নিজেকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়৷ অপরজনের ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট কোন খবর মেলেনি৷ তবে সেখানে আর কোন আত্মঘাতী হামলাকারী লুকিয়ে আছে কি না তা নিশ্চিত হতে চিরুনি অভিযান চালায় কাবুল পুলিশ৷ অবশ্য, কড়া পাহারাবেষ্টিত এই সামরিক হাসপাতালে কীভাবে আত্মঘাতী হামলা সম্ভব তা নিয়ে বেশ গুঞ্জন শুরু হয়েছে৷ এই হামলার ফলে কাবুল পুলিশ ও সেনা সদস্যদের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে জনতার মাঝে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়