1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে পাঁচ বিদেশি সৈনিক সহ নিহত ৯ জন

১৬ এপ্রিল ২০১১

চোখে ধূলো দেয়াটা হয়তো একেই বলে৷ আফগান সেনাবাহিনীর পোশাক পরে এক দুস্কৃতিকারী কোন বাধা ছাড়াই পূর্বাঞ্চলের রাঘমান প্রদেশের নির্মানাধীন একটি সেনানিবাসে ঢুকে পড়ে৷ কেউ কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় সে৷

https://p.dw.com/p/10ujH
ছবি: AP

জালালাবাদ শহরের কাছাকাছি নির্মীতব্য এই সেনানিবাসে হামলার ঘটনায় মারা যান পাঁচ বিদেশি সেনা সহ ৯ জন৷ অবশ্য কোন কোন বার্তা সংস্থা নিহতের সংখ্যা ১০ জন বলে উল্লেখ করছে৷ তাদের হিসাবে পাঁচ ন্যাটো সেনার সঙ্গে নিহত হন আফগান সেনাবাহিনীর আরও পাঁচ সদস্য৷ বোমার আঘাতে আফগান বাহিনীর অন্য পাঁচ জোয়ান ছাড়াও আরও চার দোভাষী গুরুতর আহত হন বলে খবর৷ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটার সময় ঘটে এই ঘটনা৷

ন্যাটোর মুখপাত্র মাইকেল জনসন এই ঘটনার পরপরই তাদের পাঁচ সেনা নিহত হবার খবর নিশ্চিত করেছেন৷ তবে নিয়ম অনুসারেই তিনি বিদেশি সেনাদের নাম প্রকাশ করেননি৷ তালেবান গোষ্ঠী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেই দাবি৷ আর এই দাবিটি এসেছে খোদ তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের কাছ থেকে৷ তিনি অজ্ঞাত এক স্থান থেকে টেলিফোনে জানান, এক মাস আগেই এই হামলার পরিকল্পনা করেন তারা৷ এ জন্য ঐ আত্মঘাতী বোমারু নিজে একজন নির্মান শ্রমিক সেজে সেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছিলেন৷ একটি বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, আফগানিস্তানে সেনা বা পুলিশের উর্দি প্রকাশ্যে বিক্রি আইন করেই নিষিদ্ধ৷ তবে এখনো বিভিন্ন স্থানে চাইলেই এ ধরণের পোশাক পাওয়া যায়৷ ফলে পোশাক সংগ্রহটা খুব কষ্টকর কিছু নয়৷

গত এক মাসের মধ্যে এটাই আফগানিস্তানে ন্যাটো ও আফগান বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় ধরণের হামলা বলে উল্লেখ করছে সংবাদ সংস্থাগুলো৷

এদিকে, সেনা নিহতের ঘটনা যখন ঘটলো ঠিক সেই সময়ে রাজধানী কাবুলে বৈঠক করছেন পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির নেতৃত্বে সেনা প্রধান আশরাফ পারভেজ কায়ানি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আহমেদ সুজা পাশা এবং আরও কিছু কর্মকর্তা তালেবান্, বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতিবেশী দেশটি সফরে করছেন৷ ইসলামাবাদ ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী গিলানি বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশিলতার জন্য তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা আফগানিস্তান সফরে যাচ্ছেন৷ আর পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে সকল ধরণের সহায়তা দিতে চায় আফগানিস্তানকে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম