1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে ‘অপারেশন মুশতারাক’এর এক সপ্তাহ

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১০

প্রায় ৮ বছর আগে তালেবান শাসনের সমাপ্তির পর থেকে আফগানিস্তানে তালেবান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এত বড় আকারের সামরিক অভিযান চালানো হয় নি, যেমনটা গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে৷ এবার ‘অপারেশন মুশতারাক’এর একটা খতিয়ান নেওয়ার সময় এসেছে৷

https://p.dw.com/p/M6Sq
এর আগে এত সংখ্যক আফগান সৈন্য এমন অভিযানে অংশ নেয় নি৷ছবি: AP

প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া

আফগান ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রায় ১৫,০০০ সৈন্য ‘অপারেশন মুশতারাক'এ অংশ নিচ্ছে৷ আশা করা হচ্ছে, এই অভিযানের ফলে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যাবে৷ প্রথম সপ্তাহে অভিযানের সাফল্য সম্পর্কে মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ দূত রিচার্ড হলব্রুক বলেন, ‘‘অভিযান সম্পর্কে এখনো চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসে নি৷ বিদ্রোহীদের দমন করতে আধুনিক ও রাজনৈতিক কায়দায় যে সংগ্রাম চালানো হচ্ছে, তা একেবারে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে৷ অতীতে এমনটা কখনো ঘটে নি৷ মানুষের স্বার্থকে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, যাতে হতাহতের সংখ্যা যথাসম্ভব কম রাখা যায়৷''

Flash-Galerie US Militär Afghanistan
স্থানীয় উপজাতীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন সামরিক কর্মকর্তারা৷ছবি: AP

মন জয়ের কৌশল

দক্ষিণে হেলমন্দ প্রদেশের মূলত নাদ আলী ও মার্জা জেলায় এই অভিযান চলছে৷ সেখানকার জনসংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজারের মত, যাদের মধ্যে বেশীরভাগই পশতুন৷ আফগানিস্তানের এই বৃহত্তম জনগোষ্ঠীই তালেবান আন্দোলনের মূল ভিত্তি৷ ফলে তারা যে বিদেশী সৈন্যদের দখলদারি বাহিনী হিসেবে গণ্য করবে, এবিষয়ে যথেষ্ট সচেতন আইসাফ বাহিনীর ব্রিটিশ কমান্ডার নিক কার্টার৷ তিনি জানান, ঐ এলাকায় নিরাপদ বেসামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে৷ তবে সাধারণ মানুষের উপকারের জন্য যা করা হচ্ছে, তা তাদের বুঝে উঠতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে৷

Afghanistan / Helmand / Flüchtlinge
এবারের অভিযানে নিরীহ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও সংঘর্ষ এড়াতে শরণার্থীদের ঢলছবি: AP

আফগানিস্তানের দক্ষিণে পশতুন এলাকায় এই সামরিক অভিযানের সাফল্য জনসাধারণের সমর্থনের উপর নির্ভর করছে৷ তালেবান আধিপত্যের ইতিবাচক ও নিরাপদ বিকল্প যে থাকতে পারে, মানুষ তা দেখতে পেলে মনোভাবের পরিবর্তন আসতে পারে৷ কিন্তু ন্যাটো বাহিনীর গোলাগুলির আঘাতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হলে অভিযানের মূল উদ্দেশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ ফলে এবারের অভিযানে এই বিষয়টির প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে৷ স্থানীয় উপজাতীয় নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছে ন্যাটো ও আফগান বাহিনী৷ কিন্তু তালেবান বিদ্রোহীরা সচেতনভাবে নিরীহ মানুষকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আব্দুল রহিম ওয়ারদাক মনে করছেন, ‘মুশতারাক'এর ফলে তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের ব্যবধান বাড়ছে৷ তার উপর তালেবান কমান্ডার মোল্লা বারাদার সম্প্রতি পাকিস্তানে আটক হওয়ায় তালেবান বিদ্রোহীদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে৷ আব্দুল রহিম নিশ্চিত, যে আফগানিস্তানের মানুষ অনেক যুদ্ধ দেখেছে, এবার তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে৷ তবে শুধু সামরিক অভিযানে সাফল্য যথেষ্ট নয় – ঐ এলাকায় রাষ্ট্রের স্থায়ী নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে৷

প্রতিবেদন: সান্ড্রা পেটার্সমান, অনুবাদ: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই