আফগানিস্তানের মাইন-শিকারি কুকুর
আফগানিস্তানে কেবল ২০১৮ সালেই পরিত্যক্ত মাইন বিস্ফোরণে হতাহত হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মানুষ৷ তবে, অবিস্ফোরিত মাইন খুঁজতে দেশটিতে কুকুরের ব্যবহার হচ্ছে কার্যকরভাবে৷
২০০ কুকুর
অবিস্ফোরিত মাইন আর অস্ত্র খুঁজতে কুকুরের কার্যকর ব্যবহার দেখিয়েছে আফগানিস্তান৷ বর্তমানে ২০০ কুকুর নিয়ে রাজধানী কাবুল থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে মাইন ডিটেকশন সেন্টার (এমডিসি)৷ কুকুরগুলো জার্মান শেফার্ড কিংবা বেলজিয়ামের ম্যালিনইস প্রজাতির৷
প্রশিক্ষণে দু‘বছর
মাইন-শিকারি কুকুরগুলোর প্রশিক্ষণে অন্তত দুই বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন এমডিসি কর্মকর্তারা৷ মাইন, অস্ত্র, মাদক প্রভৃতির ঘ্রাণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হয় কুকুরদের৷
যন্ত্রের চেয়ে কার্যকর
মাইন খুঁজতে কুকুরগুলোকে মেটাল ডিটেক্টর যন্ত্রের চেয়ে কার্যকরী হিসাবে পাওয়ার কথা জানাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা৷ কুকুরগুলোর প্রত্যেক তত্ত্বাবধায়ক মাসিক বেতন পান ৫০০ ডলার করে৷ তবে, মাইন খুঁজতে গিয়ে বিস্ফোরণে তত্ত্বাবধায়কদের কেউ কেউ আহত হওয়ার ঘটনাও আছে৷
মাদক খুঁজতে কুকুরের ব্যবহার
কেবল মাইন নয়, মাদক খোঁজার জন্যও প্রশিক্ষিত করা হয় এই কুকুরগুলোকে৷ সেগুলো নিয়ে মাদকের আখড়ায় হানা দিয়ে সফলতাও পাওয়া গেছে৷
১৯৮৯ সালে শুরু
আফগানিস্তানে এমডিসি-র কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৯ সালে৷ আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুদ্ধে পরিত্যক্ত মাইন খুঁজতে শুরু হয় এর কার্যক্রম৷ এখন পর্যন্ত এক হাজার ১০০ কুকুরকে প্রশিক্ষিত করার কথা জানিয়েছেন এমডিসি-র প্রধান৷ প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানকেও কুকুর সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি৷