1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আপনার ই-বইটি বানান বিনে পয়সাতেই!

৭ অক্টোবর ২০১০

শুরু হয়ে গেছে প্রকাশনা নিয়ে আয়োজিত বিখ্যাত ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা৷ মেলায় আসা পাঠক, ক্রেতা, প্রকাশক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, নানান ধরণের মানুষ এখন মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন মূল্যবান কথা বিলাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/PXaG
ক্যালিব্রে সফট্ওয়ার ব্যবহার করে ই-বুক বানানো যায়ছবি: AP

এমনই একজন বিশেষজ্ঞের বরাতে ই-বুক সংক্রান্ত কিছু মূল্যবান তথ্য জানা গেছে৷

অবশ্য বিশ্বের নামকরা এই ছাপানো বইয়ের মেলায় এসে ই-বুকের প্রচারণা চালানোর বিষয়টি অনেকের কাছেই একটু অভিসন্ধিমূলক মনে হতে পারে৷ দিন বদলেছে, এই বিষয়টিও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে৷ লেখকরা যে ইদানিং সরাসরিই তাঁদের প্রকাশনা বিক্রি করছেন আর এই ই-যুগে ই-বুকই যে ক্রমশ তার রাজত্ব কায়েম করবে, জাপানি এই ভদ্রলোকের উপদেশের পেছনে সে ইঙ্গিতটিও কিন্তু স্পষ্ট৷

তিনি জানিয়েছেন, যারা নিজেই নিজের দক্ষতা বিকোতে মনস্থ করেছেন, যেমন কেউ রান্নার রেসিপি বা কবিতা বিক্রি করবেন ভেবেছেন কিংবা কেউ উপদেশ৷ সেক্ষেত্রে এক পয়সাও খরচ না করে আপনি নিজেই আপনার ই-বুক বানিয়ে ফেলতে পারেন৷ আর সেই ভার্চুয়াল দোকান থেকে তা বিক্রি হলে আপনার লাভ থাকবে পুরোটাই৷

মিচিয়াকি তানাকা নামের এ'বিশেষজ্ঞ নিজেও নাকি এই তরিকাতেই ‘ফেং সুই' নিয়ে লেখা তাঁর বই বিক্রি করেন৷ জানা গেছে, আমাজনডটকম আর জাপানি স্মার্টফোন ওয়েব আই-মডের মাধ্যমে তাঁর প্রকাশনাটি তিনি বিক্রি করে থাকেন৷ তাঁর কথা হচ্ছে, কেউ যদি চান তাহলে তিনি খুব সহজেই নাকি তাঁর সমুদয় টেক্সট ফাইল আর ছবিগুলোকে মনোলোভা ই-বুকে রূপান্তরিত করতে পারবেন৷

ই-বুক বানানোর জন্য গাঁটের কড়ি খরচ করতে তানাকা একদম বারণ করেছেন৷ তাঁর উপদেশ হচ্ছে, এর চেয়ে আপনি বরং আপনার এই সময় আর অধ্যাবসায়টুকু বিক্রি বাড়ানোর কাজে লাগান৷ সেটি আরো ফল দেবে৷ তানাকা জানিয়েছেন, ই-বুক বানানোর জন্য তিনি ক্যালিব্রের সহায়তা নিয়ে থাকেন৷ ক্যালিব্রে হচ্ছে ওপেনসোর্স এর একটি সফট্ওয়ার প্রোগ্রাম৷ যা ওয়েব থেকে নিখরচাতেই ডাউনলোড করা সম্ভব৷ তারপর এর সহায়তা নিয়ে বিনে পয়সাতেই আপনি মাথা খাটিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার মনপছন্দ ই-বুকটি৷

আপনার প্রকাশনাটির জন্য একটি আইএসবিএন নম্বর পাওয়াটিও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এটি মিললেই আপনার প্রকাশনাটির অর্ধেক কাজ হয়ে গেলো৷ যেমন গাড়ির জন্য রেজিস্ট্রেশন নম্বর লাগে আর কি! পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই প্রকাশনার জন্য এই আইএসবিএন নম্বর ব্যবহৃত হয়৷ ই-বুকের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি মাউসের মাত্র কয়েকটি ক্লিকের ব্যাপারই বটে৷

আর ছাপানো বই এর ক্ষেত্রে বই না চললে যেমন তা বইয়ের দোকান থেকে উধাও হয়ে যায় ই-বুকের ক্ষেত্রে এর বালাই নেই৷ অনলাইন বইয়ের তাকের দৈর্ঘ্য অন্তহীন! এই সবকিছু মেলালে যশপ্রার্থী লেখকদের কিন্তু ই-বুকের দিকেই ঝোঁকার কথা!

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার