1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

1. Mai

৩০ এপ্রিল ২০১০

পয়লা মে ! আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস৷ উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে প্যারিসে শ্রমিকদের যে আন্দোলন শুরু হয় তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে৷

https://p.dw.com/p/NAh5
ছবি: AP

বহু রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শ্রমিক সম্প্রদায়ের ন্যায্য অধিকার এবং স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস৷ এই শ্রমিক দিবসকে নিয়ে রচিত হয়েছে কবিতা আর বাঁধা হয়েছে বহু গান৷ যেকোনো আন্দোলনেই সংগীত এক বিরাট ভুমিকা রেখেছে সবসময়৷

১৮৭১ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্যারিস নগরী শাসন করেছিল কার্যত প্যারিস কমিউন - সমাজতন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রিত নগর পরিষদ৷ কমিউন প্রতিষ্ঠিত হবার দু মাস পর ভার্সাই এর সেনাদলের সাথে রাস্তায় রাস্তায় রক্তাক্ত সংঘর্ষে পরাজিত হয় শ্রমিক অধিকারের এই আন্দোলন৷এই সময় ফরাসি কমিউনিস্ট এবং পরিবহন কর্মচারী ইউজিন পোটিয়ে রচনা করেন বিশ্ব শ্রমিক আন্দোলনের গান ‘দ্যা ইন্টারনাসিওনালে'৷

পনেরো বছর পর অর্থাৎ ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার শিকাগো শহরে সাধারণ শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়৷এই ধর্মঘটের লক্ষ্য ছিল কাজের সময় দৈনিক আট ঘন্টায় সীমিত করা৷ চৌঠা মে পুলিশ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে বহু শ্রমিক নিহত ও আহত হন৷ ‘হে মার্কেট' নামে খ্যাত এই আন্দোলন প্রায় নির্জীব হয়ে এলেও শ্রমিক ইউনিয়নের অধিকার আদায়ের নিরলস প্রচেষ্টা থেমে যায়নি৷

১৮৮৯ সালে ‘হে মার্কেট' দাঙ্গায় নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, প্যারিসে সমাজতন্ত্রী ও শ্রমিক পার্টি পয়লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে৷ এর পরের বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক ধর্মঘট ও বিক্ষোভ হয়৷ ১৯০৮সালে ইটালিতে সমাজতন্ত্রী আন্দোলন ‘বান্দিয়িএরা রোজা' বা ‘লাল পতাকা' এর প্রতি উৎসর্গ করে কার্লো টুৎসি, লম্বার্ডিয়ান লোক সংগীতের সুরে রচনা করেন একটি গান যা অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে৷

শ্রমিকদের প্রতিবাদ ভাঙতে মালিকপক্ষ চাপ সৃষ্টি করতে দ্বিধা করেনি৷ ধর্মঘটের নেতারা ছিলেন তাদের কাছে সব গোলমালের উৎস৷ ফলে শ্রমিকদের দাবির কথা বলেছেন যাঁরা, তাঁরা কঠোর ব্যবস্থার শিকার হয়েছেন৷ এমনই একজন ছিলেন জো হিল৷ অভিবাসী শ্রমিক ও সংগীত রচয়িতা জো হিলকে হত্যার অভিযোগে প্রাণদন্ড দেয়া হয় ১৯১৫ সালে৷ হিল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন বারবার৷ মৃত্যুর আগে শ্রমিকদের প্রতি তাঁর সেই বিখ্যাত বাণী ‘শোকতপ্ত হয়ো না, সংগঠিত হও', তা আজও ম্লান হয়ে যায়নি৷ তাঁরই নামে বাঁধা হয়েছে একটি গান যা অমরত্বের দাবি করতে পারে৷ বহু সংগীতশিল্পী কন্ঠ দিয়েছেন এই গানে৷ তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবল রাজনিতি সচেতন কিংবদন্তি সংগীত তারকা জোয়ান বেইজ৷

প্রতিবেদক: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক