1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসাদের কি বিচার হবে?

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার ব্যাপারে জাতিসংঘ পরিদর্শকদের রিপোর্টের পর আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর প্রস্তাব জানাবে তারা৷

https://p.dw.com/p/19idU
Children, affected by what activists say was a gas attack, breathe through oxygen masks in the Damascus suburb of Saqba, August 21, 2013. Syria's opposition accused government forces of gassing hundreds of people on Wednesday by firing rockets that released deadly fumes over rebel-held Damascus suburbs, killing men, women and children as they slept. REUTERS/Bassam Khabieh (SYRIA - Tags: POLITICS CIVIL UNREST CONFLICT TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

সিরিয়ার রাজধানীর দামেস্কের উপকণ্ঠে ২১শে আগস্ট যে রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালানো হয়েছে, তাতে সারিন নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বলে জাতিসংঘ পরিদর্শকদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷ কিন্তু এ হামলার পেছনে আসলেই কে দায়ী, তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি রিপোর্টে৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স বলছে, হামলার সাথে আসাদ সরকার সরাসরি জড়িত৷

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাব

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁদের কাছে পরিষ্কার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, ভূমি থেকে ভূমিতে রকেট নিক্ষেপ করে দামেস্কের উপকণ্ঠে গৌটার বিদ্রোহী ঘাঁটিতে সারিন গ্যাস হামলা চালানো হয়েছিল৷ জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার মঙ্গলবার বলেছেন, এই রিপোর্ট থেকেই বোঝা যায়, সরকারের পক্ষেই এত বড় ধরনের রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালানো সম্ভব৷ কেননা বিদ্রোহীদের নিজেদের ঘাঁটিতে হামলা চালানোর কোন যৌক্তিকতা নেই৷

ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রী লোরঁ ফাবিউস বলেছেন, সিরীয় সরকারই যে এ হামলা চালিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের মন্তব্য একই৷

সিরিয়া সরকার যদি খুব শিগগিরই কোন নিরস্ত্রীকরণ পরিকল্পনা না করে, তবে ফ্রান্স এবং ব্রিটেন আসাদ সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠাবে৷ সেইসাথে রাসায়নিক হামলার জন্য আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতে আসাদের বিচারের প্রস্তাব দেবে বলে জানালেন কূটনীতিকরা৷ সিরিয়া ইস্যুতে এই সপ্তাহেই নিরাপত্তা পরিষদ আলোচনায় বসবে৷

United Nations Secretary-General Ban Ki-moon speaks during a news conference at the United Nations Headquarters in New York, September 9, 2013. In a bid to help the U.N. Security Council overcome its "embarrassing paralysis" on Syria, Ban said on Monday he may ask the council to demand that Damascus move its chemical arms stocks to sites where they can be safely stored and destroyed. REUTERS/Brendan McDermid (UNITED STATES - Tags: POLITICS CONFLICT)--eingestellt von haz
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ১৯৮৮ সালে ইরাকের হালাবজায় সাদ্দাম হোসেন বিষাক্ত গ্যাস নিঃসৃত করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছিলেন, সেই ঘটনার পর সিরিয়ার এই ঘটনা আসলেই ভয়াবহছবি: Reuters

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা যুদ্ধাপরাধের সামিল

জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশের পর এ হামলার নিন্দা জানিয়ে একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন৷ তিনি বলেছেন, ১৯৮৮ সালে ইরাকের হালাবজায় সাদ্দাম হোসেন বিষাক্ত গ্যাস নিঃসৃত করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছিলেন, সেই ঘটনার পর সিরিয়ার এই ঘটনা আসলেই ভয়াবহ৷

বান কি মুন সাংবাদিকদের বলেন, এই হামলার ব্যাপারে সবার নিজস্ব মতামত রয়েছে৷ কিন্তু এটা একটি জঘন্য অপরাধ এবং এর জন্য যে দায়ী, তাকে যত শিগগিরই সম্ভব বিচারের মুখোমুখি করা হবে৷ এদিকে, জাতিসংঘের স্বতন্ত্র একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ১৪ ধরনের রাসায়নিক গ্যাস হামলার অভিযোগ তাদের কাছে রয়েছে, যা তারা খতিয়ে দেখছে৷

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, জাতিসংঘের রিপোর্টটি তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে৷

ফলাফল হবে ভয়াবহ: কেরি

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, আসাদ সরকার যদি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করে, তবে এর ফলাফল হবে ভয়াবহ৷ শনিবার কেরি এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত করার পরিকল্পনার ব্যাপারে একমত হন৷ কেরি বলেন, সেই কাঠামো অনুযায়ী কাজ করতে হবে সিরিয়া সরকারকে৷ বৃহস্পতিবার সিরিয়া ইস্যুতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে কেরির৷

তুরস্ক সীমান্তে উত্তেজনা

সোমবার তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে সিরিয়ার একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী৷ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সানাকে দেয়া এক বিবৃতিতে সিরীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঐ সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াতেই এ ধরনের আচরণ করেছে তুরস্ক৷ ভুলবশত সিরীয় সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার তুরস্কের আকাশসীমায় প্রবেশের পর ভুল বুঝতে পেরে যখন ফিরে যাচ্ছিল তখনই এটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে৷

কিন্তু তুরস্কের উপ প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ত আরিঞ্চ এই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, হেলিকপ্টারটি তুরস্কের আকাশসীমার ২ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করার পর অনেকবার হুঁশিয়ারি সংকেত পাঠানোর পর তারা গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছে৷

এপিবি/এসবি(ডিপিএ/এএফপি/রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য