আধুনিক ইলেকট্রনিক পণ্যের অনন্য এক প্রদর্শনী
অ্যামেরিকার বাৎসরিক ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্যের প্রদর্শনী নিজেকে ‘নবধারার বিশ্বায়িত মঞ্চ’ বলে জাহির করে থাকে৷ ৯ই জানুয়ারি থেকে চলছে আধুনিকতম টেক পণ্যের এই প্রদর্শনী৷
রোবটদের দুনিয়া
অ্যামেরিকার বাৎসরিক ‘কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো’ (সিইএস) প্রথম চালু হয় ১৯৬৭ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে৷ কিন্তু গত ২০ বছর ধরে তা লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনের আদর্শ স্থান এই সিইএস, এবছর যেমন আভাটারমাইন্ডস কোম্পানির আইপ্যাল স্মার্ট এআই রোবটগুলি নজর কাড়ছে৷ ছবিতে তাদের ক্যালিস্থেনিক্স করতে দেখা যাচ্ছে৷ এই রোবটগুলি শিশু ও প্রবীণদের সঙ্গী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে৷
এটুকু বুঝলে না, ওয়াটসন?
২০১২ সালে মাইক্রোসফ্ট ঘোষণা করে যে, তারা আর সিইএস-এ তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে না৷ কিন্তু আইবিএম-এর মতো অন্যান্য কম্পিউটার কোম্পানি পূর্বাপর পুরোমাত্রায় উপস্থিত৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দর্শকরা কিভাবে ‘আইবিএম ওয়াটসন’ সিস্টেমটি পরখ করে দেখছেন: কম্পিউটার প্রণালীটি সাধারণ ভাষায় জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের জবাব দিতে সক্ষম৷
কী আরামের, না?
২০১৭ সালের সিইএস প্রদর্শনীতে ১,৮৪,০০০ দর্শক এসেছিলেন প্রায় ৪,০০০ কোম্পানির পেশ করা ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য দেখতে৷ যে কোনো পণ্য নিজে পরীক্ষা করেও দেখা যায়৷ ছবিতে যেমন দর্শকরা প্যানাসোনিকের নতুন এমএজে৭ ম্যাসেজ চেয়ারে শুয়ে দেখছেন, বৈদ্যুতিন মালিশ ঠিক কতটা আরামের...৷
হালের উড়ন্ত চাকির নাম ড্রোন
সিইএস-এর উদ্যোক্তা কম্পিউটার টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন বলছে যে, এ বছরের প্রদর্শনীতে বিশ হাজার নতুন পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে৷ এইসব নতুন পণ্যের মধ্যে একাধিক নতুন ড্রোন প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন চীনের সুয়েফেং চেন-এর প্রদর্শিত কুড্রোন ড্রোন, চেন যা তাঁর আইফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করছেন (ছবি)৷ এ ধরনের সংযোগকে আজকাল ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ বলা হয়ে থাকে৷
রোবট রাইডার
রোবটিক্স সিইএস-এ ক্রমেই আরো বেশি প্রতিপত্তি অর্জন করছে, বিশেষ করে যখন সিইএস-এর ঘোষিত লক্ষ্য হলো, ‘বুদ্ধিযুক্ত, স্বয়ংচালিত সব যন্ত্র, যা আমাদের জীবনধারা পাল্টে দিচ্ছে৷’ এবছরের প্রদর্শনীতে ‘মোটোবট’ নামের এক যান্ত্রিক মোটর সাইকেল চালককে দেখানো হয়েছে (ছবি)৷ কিন্তু এ ধরনের রোবোটিক্সের কোনো বাস্তব, ব্যবহারিক উপযোগিতা আছে কিনা, সে বিষয়ে সমালোচকরা নিশ্চিত নন৷
মার্সিডিজ টু-সিটার
২০১৮ সালের সিইএস-এ মোটর গাড়ি প্রযুক্তি বিশেষভাবে বর্তমান৷ তার কারণ, ‘কনসেপ্ট কার’ মানেই আজকাল ‘ইলেকট্রোমোবিলিটি’ ও ‘সেল্ফড্রাইভিং’ বা স্বয়ংচালিত গাড়ি৷ এবারের প্রদর্শনীতে নজর কেড়েছে মার্সিডিজ-এএমজি প্রোজেক্ট ওয়ান গাড়ি – একটি প্লাগ-ইন হাইব্রিড সুপারকার যাতে ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ের টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে৷
চমকের পর চমক
সিইএস-এর প্রচার অভিযানে আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, এ বছরের প্রদর্শনীতে আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি চমক থাকবে৷ কিন্তু অধিকাংশ বড় টেকনোলজি কোম্পানি আজকাল তাদের পণ্য পেশ করার জন্য আলাদা ‘ইভেন্ট’-এর ব্যবস্থা করে থাকে, যার ফলে সিইএস-এর চমক কিছুটা কমেছে বৈকি৷