1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদিম যুগের গুহাবাসীদের খাদ্যাভাস

৪ অক্টোবর ২০১০

কুড়ি লাখ বছর বা তার চেয়েও বেশি আগে আদিম মানুষ গুহায় বাস করতো৷ কিন্তু তাদের খাবার দাবার কেমন ছিল? সেই কথা জানতেই একদল বিজ্ঞানী গবেষণা শুরু করেছেন সম্প্রতি৷

https://p.dw.com/p/PTBu
প্রস্তরযুগের মানুষ মাংসাশী ছিলেন নাছবি: AP

আদিম যুগের গুহাবাসীদের খাবার অভ্যাস বা কী ধরনের খাবার থেকে তাঁরা পুষ্টি পেতেন, সে সব কিছু সম্পর্কে জানার জন্যই বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা৷ তবে এছাড়াও বিজ্ঞানীদের কিন্তু আরেকটি উদ্দেশ্য আছে এই গবেষণার পেছনে৷ আর সেটি হচ্ছে, শিকার করার পরে কী ভাবে মানুষ সেই খাবার খেতেন, সে কথাও এবার জানতে চান বিজ্ঞানীরা৷ কারণ, সেই কথা জানতে পারলে হয়তো আধুনিক যুগের খাবারে পুষ্টির পরিমাণ আরো বাড়ানো যেতো বা খাবারের পুষ্টি অটুট রাখা যেতো৷

২৫ লাখ বছর আগে থেকে প্রায় ১২ হাজার বছর আগে পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রস্তরযুগে, আমাদের পূর্বপুরুষদের খাবারের অভ্যাস নিয়ে অনেক ধরনের ধারণা প্রচলিত আছে৷ এ পর্যন্ত মূলত ভাবা হতো যে, সেই সময় আমাদের পূর্বপুরুষরা সব্জি, ফলমুল, বাদাম, নানা রকম শেকড়বাকর এবং মাংস খেয়ে বেঁচে থাকতেন৷

প্রায় ১০ হাজার বছর আগে ছিল কৃষিকাজের একেবারে প্রাথমিক যুগ৷ সেই সময় কিন্তু আলু, রুটি বা দুধ - মানে যেগুলোকে আমরা প্রধান খাবার বলে মনে করি, এই ধরনের খাবার-দাবারের প্রচলন ছিল না৷ তাহলে এখন আমরা যা খাই, সেই অভ্যাসই অটুটু রাখবো না কী আমাদের পূর্ব পুরুষদের খাবারের অভ্যাসে ফিরে যাবো? মজার বিষয় হচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই প্রখ্যাত কোম্পানি ইউনলিভার, নৃতত্ত্ব, খাদ্যবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে কাজের জন্যে এনেছে৷

ইউনিলিভারের গবেষণার দায়িত্বে রয়েছেন ড. মার্ক বেরী৷ তিনি বলেন, সেই সময় অর্থাৎ প্রস্তরযুগের খাদ্য অভ্যাস থেকে উদ্দিপনা নিয়েই বর্তমান যুগের মানুষের জন্যে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার সৃষ্টি করাই, এই গবেষণার লক্ষ্য৷ ড.বেরী বলেন, প্রস্তরযুগের খাদ্যাভ্যাসের মেন্যুতে উল্লেখযোগ্য খাবার ছিল প্রচুর পরিমাণে লতা-গুল্ম বা শাক-সব্জি৷ আমরা চেষ্টা করি দিনে অন্তত পাঁচ ভাগ ফল এবং সব্জি খেতে, কিন্তু প্রস্তরযুগের আদিম মানুষরা খেতেন, দিনে ২০ থেকে ২৫ ভাগ নিরামিষ খাবার৷

তাহলে প্রচলিত ধারণা অনুয়ায়ী, প্রস্তরযুগের মানুষ মাংসাশী ছিলেন না৷ তাঁরা সর্বভুক ছিলেন৷ খেতেন সবকিছু, ভালোবাসতেন সবুজ৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন