1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আদিবাসীদের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে'

১৩ জুন ২০১৭

আধুনিক প্রযুক্তির দৌলতে আমাদের জীবনযাত্রা অনেক আরামদায়ক হয়ে উঠছে বটে, কিন্তু আমরা অনেক সহজাত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি৷ আফ্রিকায় এক উদ্যোগের আওতায় আদিবাসীদের প্রাচীন জ্ঞান বৃহত্তর সমাজের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2ebCG
USA Disability Pride Parade in New York (Bildergalerie)
ছবি: Reuters/E. Munoz

আফ্রিকার দক্ষিণের দেশ বৎসোয়ানা'র মধ্যভাগে কালাহারি মরুভূমি৷ স্যান উপজাতির মানুষ তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য ও বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে গর্ব করে৷ আগুন জ্বালাতে শুধু ধৈর্য লাগে না, আশেপাশের ঝোপঝাড় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ও দক্ষতাও থাকতে হবে৷ সামাজিক শিল্পপতি তাবিসো মাশাবা মনে করেন, এই জ্ঞান গ্রাম্য সমাজের জন্য অভিনব সুযোগ এনে দিতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘একভাবে দেখতে গেলে আমরা জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছি৷ আমার মনে হয়, দেশজ জ্ঞানের ভিত্তি হলো মানুষের জ্ঞান, হাতেনাতে পাওয়া শিক্ষা, হাতের কাজ– এই সব৷ সেটি বৎসোয়ানার অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে পারে৷ কারণ, এই মুহূর্তে মানুষের মধ্যে কিছু একটা করার তাগিদ জাগাতে হবে, যাতে তারা টেকসই ব্যবসার পথে যেতে পারে৷''

স্যান উপজাতি কয়েকশ' বছর ধরে এমন শুষ্ক পরিবেশে টিকে রয়েছে৷ বর্তমানে বেকারত্ব ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে দূরে চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই বললেই চলে৷

তাবিসো মাশাবা মনে করেন, স্যান উপজাতি আধুনিক সমাজে অনেক অবদান রাখতে পারে৷ বিশেষ করে কম সম্পদ নিয়েও কীভাবে অনেক কিছু করা সম্ভব, সেই শিক্ষা অনেকের কাজে লাগতে পারে৷ মার্কিন এনজিও আইডিআইএন-এর সহায়তায় মাশাবা একটি গ্রামে ছোট এক ‘ইনোভেশন সেন্টর' গড়ে তুলেছেন৷ সেখানে ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্থানীয় সমাজের মানুষের সঙ্গে কাজ করেন৷ তাঁরা এমন সব যন্ত্রপাতি তৈরি করতে চান, যা নতুন ছোট আকারের ব্যবসায়  মুনাফা আনতে পারে৷ মাশাবা বলেন, ‘‘এটা হলো ‘মেকার স্পেস', যার ধারণা আমরা ২০১৫ সাল নাগাদ সৃষ্টি করেছিলাম৷ এখন এটি আসল প্রকল্পের রূপ নিয়েছে৷ স্যান সম্প্রদায়ের মানুষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মৌলিক জ্ঞান আয়ত্ত করে ওয়ার্কশপে নানা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে এবং নিজেদের জীবনযাত্রার নানা সমস্যার সমাধান খুঁজছে৷''

এই মুহূর্তে একদল মার্কিন ছাত্রছাত্রী ‘ইনোভেশন সেন্টার'-এ থাকতে এসেছেন৷ স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মিলে বস্টন শহরের বাসিন্দা শ্যানন ম্যাককয় সস্তার হুইলচেয়ার তৈরি করছেন, যা সেখানকার রুক্ষ পরিবেশের উপযোগী৷ সেই অঞ্চলের বয়স্ক মানুষের জন্য এই উদ্ভাবন উপকার বয়ে আনবে৷ এমআইটির ছাত্রী শ্যানন ম্যাককয় বলেন, ‘‘এই ডিজাইন বালুর উপরে হুইলচেয়ার চালাতে সহায়ক হবে৷ তাই আমরা তার শক্তি বাড়াতে চেন ও গিয়ার লাগিয়ে সেটিকে আমরা হ্যান্ড সাইকেলে পরিণত করেছি৷ দুটি করে চাকা লাগিয়ে বালুর উপর চালানো সহজ করার চেষ্টা করেছি৷''

এখনো এই প্রকল্প প্রোটোটাইপ স্তরে রয়েছে৷ চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো এমন এক ডিজাইন তৈরি করা, যার সাহায্যে স্থানীয় মিস্ত্রীরা হুইলচেয়ারকে সেখানকার পরিবেশের জন্য উপযুক্ত করে তোলার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন৷ তাবিসো মাশাবা বলেন, ‘‘প্রান্তিক মানুষদের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না করে তুলে তাদের উদ্ভাবন ও ব্যবসার সম্ভাবনায় মদদ দেওয়া উচিত৷ সঠিক সহায়তা পেলে তারা বৎসোয়ানার অর্থনীতিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন৷, যাতে ধাতুর উপর নির্ভর না করে জ্ঞানের ভিত্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়৷''

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উদ্ভাবন নেটওয়ার্কের সঙ্গে মিলে মাশাবা বৎসোয়ানার অন্যান্য অঞ্চলেও এমন আরও ‘মেকার স্পেস' তৈরি করতে চান৷

স্টেফান ম্যোল/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান