1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আগামী বছরেও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা দেখছেন শলৎস

৩ জুন ২০২২

ইউক্রেন ও করোনা সংকটের জের ধরে ভবিষ্যতেও মূল্যস্ফীতির ধাক্কা সামলাতে জার্মান সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করছেন চ্যান্সেলর শলৎস৷ বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চান তিনি৷

https://p.dw.com/p/4CEPf
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

করোনা সংকটের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা বিশ্ব অর্থনীতির উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাতের ফলে মূল্যস্ফীতিও দ্রুত বেড়ে চলেছে৷ এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে স্বল্প আয়ের পরিবারের অবস্থা কঠিন হয়ে উঠছে৷ জার্মানির সরকার গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি বোঝা কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টা করছে৷ কিন্তু সেই সব উদ্যোগের কার্যকরিতা নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি সরকারের ভরতুকি বহন করার ক্ষমতার সীমা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে জোট সরকার বর্তমান মূল্যস্ফীতির ধাক্কা থেকে সাধারণ মানুষকে কিছুটা রেহাই দিতে জুন থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ বিশেষ করে পরিবহণ ও জ্বালানির মূল্যের ক্ষেত্রে সরকার বেশ কিছু সাময়িক ছাড় দিচ্ছে৷ পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য কমানো, সস্তায় গণপরিবহণ ব্যবস্থা, জ্বালানির উচ্চ মূল্যের ধাক্কা সামলাতে এককালীন ভাতার মতো কিছু স্পষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ তবে ইউক্রেন ও করোনা সংকট এখনো দূর হবার কোনো লক্ষণ দেখা না যাওয়ার ফলে সরকারকে ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করছেন শলৎস৷ অর্থাৎ শুধু তিন মাসের কর্মসূচির জন্য ২,০০০ কোটি ইউরো অংকের বাড়তি ব্যয় দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে যথেষ্ট হবে না বলে তিনি মনে করছেন৷ তার মতে, এই সব পদক্ষেপের মাধ্যমে চলতি বছর মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কার ৯০ শতাংশ সামলানো সম্ভব হলেও ভবিষ্যতে আরও এমন উদ্যোগের প্রয়োজন হতে পারে৷

বৃহস্পতিবার জার্মান চ্যান্সেলর ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার সময়ে বলেন, এখনই এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজন রয়েছে৷ আগামী বছরও জার্মানির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে তিনি মনে করছেন৷ ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রোব্যার্ট হাবেকও এমন সাবধানবাণী শুনিয়েছেন৷ তাঁর মতে, মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগামী বছর সামাজিক অস্থিরতার আশঙ্কা রয়েছে৷ বিশেষ করে শীতের মাসগুলিতে ঘর গরম রাখার ব্যয় অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেলে প্রবল ক্ষোভ দেখা দিতে পারে বলে হাবেক মনে করছেন৷

এমন লাগাতার অনিশ্চয়তার মুখে জার্মান চ্যান্সেলর ফেডারেল ও রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি কর্মদাতা ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ তার মতে, ভবিষ্যতে বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবার প্রয়োজন রয়েছে৷ কারণ এভাবে সরকারি ব্যয়ের সীমা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে৷ অর্থাৎ দেশের সব মানুষের জন্য ভবিষ্যতে এমন উদার ভরতুকির ব্যবস্থা নাও করা হতে পারে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)