1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আকস্মিক, কিন্তু অপ্রত্যাশিত নয়

৩০ আগস্ট ২০১০

আচমকা এরশাদ-হাসিনা সাক্ষাৎ, কিন্তু ঠিক অপ্রত্যাশিত নয়৷ মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশ-চীন সড়ক যোগাযোগের পরিকল্পনা নতুন প্রেরণা পেতে চলেছে৷ পাকিস্তানের নতুন ক্রিকেট কেলেঙ্কারিতে আশ্চর্য নয় বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা৷

https://p.dw.com/p/Oz3e
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও এককালীন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এইচএম এরশাদছবি: Harun Ur Rashid Swapan

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সাক্ষাতের ব্যাপারটা সব পত্রপত্রিকায় গুরুত্ব পেয়েছে৷ একমাত্র সমকাল'ই এই সাক্ষাৎকে ‘আকস্মিক' আখ্যা দিয়েছে৷ এবং দুই নেতা যে শুধু দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং মহাজোটকে শক্তিশালী করা নিয়ে আলোচনা করেননি, তা'ও সকলের কাছেই স্পষ্ট৷ ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, ভোরের কাগজ কিংবা ডেইলি স্টার বিভিন্ন অনামা সূত্রে, কিন্তু পূর্ণ প্রত্যয়ের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, হাইকোর্ট সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করার পর এরশাদের কোনো শাস্তি কিংবা মামলার ভয় আছে কিনা, সেটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একান্ত সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য এবং বিষয়৷ ইত্তেফাকের খবর অনুযায়ী এরশাদ এই রায় বেরনো যাবৎ শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সচেষ্ট ছিলেন৷ ভোরের কাগজ জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী গত শুক্রবার প্রেসক্লাবে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানানোর পর ‘এরশাদের আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হয়'৷ ডেইলি স্টারের খবর অনুযায়ী শেখ হাসিনা এরশাদকে এ' নিয়ে বেশী উদ্বেগ না করতে বলেছেন৷

বাংলাদেশ-চীন হাইওয়ে

পটভূমি চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর কিন গুয়াংরং'এর চলতি বাংলাদেশ সফর৷ ইত্তেফাক কিন'এর সফরের প্রথম দিনটির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে৷ কিন এই সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে৷ রবিবার ঢাকায় পদার্পণ করেই তাঁর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ৷ ঐ সাক্ষাতে কিন উভয় দেশের মিয়ানমার হয়ে রেল ও সড়ক যোগাযোগের কথা তোলেন৷ রবিবার সন্ধ্যাতেই বাংলাদেশের যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে শিক্ষা, পর্যটন, কৃষি ও জ্বালানি বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়৷ কিন জানিয়েছেন যে, চীন সরকার ত্রি-দেশীয়, ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীন হাইওয়েটি নির্মাণেও সর্বপ্রকার সহযোগিতা করতে আগ্রহী৷ বিশেষ করে ডেইলি স্টার এবং নিউ এজ কিন'এর সফরটিকে বৈদেশিক সম্পর্ক ও বৈদেশিক বাণিজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্যক গুরুত্ব দিয়েছে৷

পাকিস্তানি ক্রিকেটের নতুন কেলেঙ্কারি

সমালোচনা, এমনকি ধিক্কারের কোনো অভাব নেই৷ কিন্তু বিষ্মিত বিশেষ কেউ নয়৷ কালের কণ্ঠ লিখছে: ‘পাকিস্তানের হাত ধরে আবার ক্রিকেট কলঙ্কিত৷' এবং সমাপ্তিতে লিখছে: ‘পাকিস্তান হেরে গেলেই যে... অনেকের মনেই ম্যাচ পাতানোর সন্দেহ উঁকি দেয়, তা পুরোপুরি অমূলক নয়৷ ‘‘ভদ্রলোকের খেলা'' ক্রিকেটে যে আজ পাতানো খেলার শেকড় গভীরভাবে প্রোথিত, তার পেছনে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের লোভী মানসিকতাই বোধহয় সবচেয়ে বেশী দায়ী৷' সমকাল অপর একটি প্রসঙ্গ টেনে লিখেছে: ‘সর্বনাশা বন্যায় যখন ভাসছে পাকিস্তান ঠিক সে সময়... বড় এক কেলেঙ্কারিতে ফের ডুবল পাকিস্তান ক্রিকেট৷'

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম