1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইসল্যান্ডে উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতা

১৩ এপ্রিল ২০১৮

ক্ষুদ্র রাষ্ট্র আইসল্যান্ডের প্রকৃতির শোভা অনেক মানুষকে আকর্ষণ করে৷ কিন্তু সেখানকার পাহাড়ে বিপদের শেষ নেই৷ বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীদের দল বিপদের সময় সর্বদা সাহায্য করতে প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/2vy8v
ছবি: DW/E. Grenier

আইসল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে ঝড় দানা বাঁধছে৷ তাপমাত্রা মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তারই মধ্যে একদল মানুষ প্রথমবার সেখানে স্কি করতে গেছেন৷ রাত ঘনিয়ে আসার আগেই মালভূমির উপর একটি কেবিনে পৌঁছাতে চান তাঁরা৷ সেই ২৪ জন পাহাড়ে মানুষজনকে রক্ষা করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ ১৮ মাসের পাঠক্রমে তাঁরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পাহাড়ে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের কাজ শিখছেন৷ উদ্ধারকর্মী গ্রেটার লাক্সডাল বিয়র্নসসন বলেন, ‘‘দুটি শীত জুড়ে কর্মসূচি রাখা হয়েছে৷ প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তেই বেরিয়ে পড়ি৷ বেশ কঠিন কাজ৷ তরুণ-তরুণীরা এখানে অনেক কিছু শিখে পাহাড়ের উদ্ধারকর্মী হয়ে উঠবেন৷’’

সেই গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকেই আইসল্যান্ডে স্বেচ্ছাসেবীরা সক্রিয় রয়েছেন৷ প্রথমদিকে শুধু বয়স্কাউটরাই এমন কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত ছিল৷ এর মধ্যে গোটা দ্বীপে প্রায় ৭০টি টিম এই কাজ করতে পারে৷

আইসল্যান্ডের অপূর্ব প্রকৃতির স্বাদ পেতে প্রতি বছর আরও পর্যটক আসছেন৷ তাঁদের মধ্যে অনেকে বেশ নির্জন, বিচ্ছিন্ন এলাকায়ও চলে যান৷ যেমন রাজধানী রেইকইয়াভিক শহরের কাছেই এক পর্বতশ্রেণি৷ একটি দল সেখানে পাহাড়ে চড়ছে৷ আচমকা আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেলে তাদের সাহায্য করতে দ্রুত বেরিয়ে পড়তে হবে৷

এই সব টিমের মধ্যে পারস্পরিক সংহতি-বোধ প্রায় কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে৷ তাই এমন কাজের প্রতি আকর্ষণও রয়েছে৷ তবে সেই কাজ ও তার জন্য প্রশিক্ষণ – দু'টিই বেশ কঠিন৷ এবার ভয় কাটিয়ে দড়ি বেয়ে পাহাড় বেয়ে নীচে নামার পালা৷

সারাদিন স্কি করে প্রথম দলটি অবশেষে কেবিনে এসে পৌঁছেছে৷ সেখানেই রাত কাটাতে হবে৷ তবে সারাদিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ধাক্কা টের পাওয়া যাচ্ছে৷ ২৪ জন প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন, ৫ জনকে মাঝপথে বিদায় নিতে হয়েছে৷ যারা টিকে গেছেন, তাদের সবার অবস্থাও ভাল নয়৷

পরের দিন ভোরে দলটি আবার বের হবার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ আইসল্যান্ডের সরকার সাজ-সরঞ্জামের ব্যয় বহন করে স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তা করে৷ বেশিরভাগ স্বেচ্ছাসেবীই চাকরি করেন৷ পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য কোনো অর্থ পান না তাঁরা৷ বিয়র্নসসন বলেন, ‘‘আমার কোম্পানি যথেষ্ট সহানুভূতি দেখায়৷ প্রয়োজন পড়লেই আমাদের যেতে দেয়৷ বেশিরভাগ মালিকই তাই করে৷’’

স্বেচ্ছাসেবীরা জীবন বাঁচাতে উদ্বুদ্ধ৷ তাঁরা এই দায়িত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন৷

ক্লাস-অলিভার রিশটার/এসবি