1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকা-পাকিস্তানের সম্পর্কে টানা-পোড়েন

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

রেমন্ড ডেভিসকে ঘিরে অ্যামেরিকা এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে৷ ইসলামাবাদের অ্যামেরিকান দূতাবাস বলছে, ডেভিস একজন কূটনীতিক, তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক৷

https://p.dw.com/p/10FaV
পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত রেমন্ড ডেভিস কারাবন্দি থাকবেছবি: AP

লাহোর আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত রেমন্ড ডেভিস কারাবন্দি থাকবে৷

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা হুমকি দিয়ে বলেছেন, অ্যামেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হুসাইন হাক্কানিকে প্রয়োজনে দেশে ফেরত পাঠানো হবে, যদি আজকের মধ্যে ডেভিসকে মুক্তি না দেওয়া হয়৷

যে রেমন্ড ডেভিসকে কেন্দ্র করে দুটি দেশের সম্পর্কে টানা-পোড়েন, তিনি আসলেই একজন কূটনীতিক কিনা, তা এখনো জানা যায়নি৷ কূটনীতিক হিসেবে তিনি বিচারমুক্ত কিনা, তা'ও খতিয়ে দেখার আদেশ দিয়েছেন লাহোর আদালত৷ ডেভিসকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে৷ পরবর্তী শুনানি ২৫শে ফেব্রুয়ারি৷ ডেভিসকে অ্যামেরিকার কাছে হস্তান্তরের কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না আপাতত পাকিস্তান৷

গত ২৭শে জানুয়ারী রেমন্ড ডেভিস দুজন পাকিস্তানিকে গুলি করে হত্যা করেন৷ তাঁর যুক্তি, আত্মরক্ষার খাতিরে তিনি গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ এরপর দূতাবাসের আরেকটি গাড়ি দ্রুত গতিতে রেমন্ডকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসলে আরেক পাকিস্তানি গাড়ি চাপা পড়ে মারা যান৷

আফগানিস্তান থেকে জঙ্গি তালেবানদের নির্মূল করতে অ্যামেরিকার সঙ্গে সহযোগিতা করছে পাকিস্তান৷ কিন্তু দুটি দেশই বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরষ্পরের উপর সন্দিহান৷ মার্কিন ড্রোন বিমানের হামলায় প্রায়ই পাকিস্তানিরা প্রাণ হারাচ্ছে, কিন্তু অ্যামেরিকা তা কখনোই স্বীকার করেনি৷ মার্কিনিদের এই দায়িত্বহীন মনোভাবের পরিচায়ক রেমন্ড ডেভিস, বলে পাকিস্তানিদের বিশ্বাস৷

রেমন্ড ডেভিসকে যদি মুক্তি দেওয়া না হয়, তা হলে আর্থিক সঙ্কটের মুখেও পড়তে পারে পাকিস্তান, বেশ স্পষ্ট করেই অ্যামেরিকা তা জানিয়েছে৷ পাকিস্তানের এ বছর প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথা৷ এ সপ্তাহের শুরুতে রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি হাওয়ার্ড ম্যাককিওন এবং জন ক্লাইন পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রেমন্ড মুক্তি না পেলে আর্থিক সাহায্যের ওপর তার প্রভাব পড়বে৷ আগামী পাঁচ বছরের জন্য সাহায্য ধার্য করা হয়েছে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার৷

পাঞ্জাব প্রদেশের আইন মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের জন্য রেমন্ড ডেভিসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে৷ আরেকটি মামলা হবে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রাখা এবং তা ব্যবহারের জন্য৷ ডেভিসের গাড়ি থেকে যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ব্যবহার করা হয়েছে: ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে কিন্তু গুলির চেম্বার ছিল ফাঁকা৷ ১১ বার গুলি ছোঁড়া হয়েছিল বলে প্রকাশ৷

রেমন্ড ডেভিসের পক্ষে অ্যামেরিকান দূতাবাস থেকে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা হয়নি৷ ডেভিসের আইনজীবী হাসাম কাদির ডেভিসের মুক্তির দাবি জানিয়ে একটি আর্জি পেশ করেছেন এবং এ সংক্রান্ত সব তথ্য গোপন রাখার আবেদন করেছেন৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরি