1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকায় মোদী, জাতিসংঘে ভাষণ শনিবার

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

বৃহস্পতিবার ভোরে ওয়াশিংটন পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী। করোনার পর প্রথম বিদেশ সফরে তিনি কোয়াড বৈঠকে অংশ নেবেন, জাতিসংঘে বলবেন, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

https://p.dw.com/p/40gb3
শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন মোদী। উপরের ছবিটি ২০১৯ সালের। ছবি: Reuters/L. Jackson

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই নিয়ে সাতবার অ্যামেরিকা সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনদিনের সফরে এবার ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। তিনি শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ভাষণ দেবেন। শুক্রবার কোয়াড বৈঠকে যোগ দেবেন। কোয়াড মানে অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতকে নিয়ে গঠিত গোষ্ঠী। মূলত চীনের মোকাবিলায় এই গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করবেন মোদী। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার দুই নেতার বৈঠক হবে। তাছাড়া তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে মোদী যখন ওয়াশিংটন পৌঁছলেন তখন বৃষ্টি পড়ছিল। ছাতা হাতে তিনি বিমান থেকে বের হন। বিমানবন্দরের বাইরে ছিলেন প্রচুর ভারতীয় মূলের মানুষ। তারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মোদীকে স্বাগত জানাতে সমবেত হয়েছিলেন। মোদী তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। হাত মিলিয়েছেন।

এবার কোয়াড বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বৈঠকে মোদী ছাড়াও থাকবেন বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে গত মার্চে একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু এবার মুখোমুখি বৈঠক হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে তারা মতবিনিময় করতে পারবেন। সেখানে চীনকে কীভাবে আটকানো যায় তা নিয়ে কথা হতে পারে।

তবে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে সীমান্ত-পারের সন্ত্রাস, আফগানিস্তান, ভারত-মার্কিন সহযোগিতা ও বাণিজ্যের বিষয়গুলি। ভারতের কাছে এই সব বিষয়ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন। সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী অ্যামেরিকার বড় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

মোদীর সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল খুবই ভাল। তিনি ট্রাম্পের জন্য আমেদাবাদে 'নমস্তে ট্রাম্প'-এর আয়োজন করেছিলেন। অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে এই অনুষ্ঠানের জন্য বাইডেন তখন ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। তবে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার সঙ্গে মোদীর ফোনে কথা হয়েছে। ভারতের যখন করোনা মোকাবিলার জন্য টিকার কাঁচামাল, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও অন্য জিনিসের দরকার ছিল, বাইডেন তা পাঠিয়েছেন। আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পর উপমহাদেশের পরিস্থিতির বদল হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন-মোদী প্রথম মুখোমুখি বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। করোনা মোকাবিলা, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি তার ভাষণে প্রাধান্য পেতে পারে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএনআই, পিটিআই, রয়টার্স)