অ্যামেরিকায় করোনা টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি তুঙ্গে
মঙ্গলবার থেকে করোনা টিকা দেওয়া হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ কেমন চলছে প্রস্তুতি, দেখুন ছবিঘরে...
যে টিকা দেওয়া হবে
মার্কিন-জার্মান যৌথ গবেষণার ফসল ফাইজার-বায়োনটেকের করোনা টিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেওয়া শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে৷ জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা দেওয়া শুরু হবে দেশের ৬৩৬টি টিকাপ্রদান কেন্দ্রের ১৪৫টিতে৷ এই ধাপে টিকা পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক নাগরিকরা৷ শেষ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, এই টিকাটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে৷
যেভাবে পৌঁছাচ্ছে টিকা
ফাইজারের টিকাসংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে মিশিগানের কালামাজু শহরে৷ সেখান থেকে বিশেষ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত ট্রাকে করে টিকাগুলি পৌঁছাবে লানসিং ও গ্র্যান্ড র্যাপিডসের বিমানবন্দরে৷ কুরিয়ার সংস্থা ইউপিএস ও ফেডএক্সের বিশেষ বিমানে করে তা যাবে লুইসিয়ানা ও মেমফিসের কার্গো কেন্দ্রে৷ সেখান থেকে টিকাগুলি পৌঁছে যাবে দেশের নানা জায়গায়৷ এরপর, মঙ্গলবার ও বুধবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার টিকা যাবে এই একই পথে৷
কেন ফেডএক্স ও ইউপিএস?
ইউএস মার্শালের কড়া প্রহরায় এই টিকাগুলি সারা দেশে পৌঁছাবার দায়িত্বে রয়েছে অ্যামেরিকার শীর্ষ দুই কুরিয়ার সংস্থা ইউপিএস ও ফেডএক্স৷ এই দুই সংস্থা অন্য আরো কয়েকটি সংস্থার সাথে মিলে এর আগেও সফলভাবে কেমোথেরাপি ও অন্যান্য ওষুধ সরবারহ করে আসছে বহুদিন ধরে৷ প্রচুর পরিমাণে ড্রাই আইস ও বিশেষ ফ্রিজারে -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই টিকাগুলি সারা দেশে পৌঁছাতে সক্ষম হবে এই দুই সংস্থা বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ৷
কর্মীরা যা বলছেন
ইউপিএসের সহকারী সংস্থা বয়েল ট্রান্সপোর্টেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু বয়েল বলেন, ‘‘আজ আমরা সাধারণ কুরিয়ার নয়, জীবনের আশা পৌঁছাচ্ছি৷ এই অনুভূতি অতুলনীয়৷’’ ক্রিসমাসের ছুটির মধ্যেও উপহারের কুরিয়ার ছাড়া সারা দেশে টিকা পৌঁছানোর কাজ করে যাচ্ছেন ইউপিএস ও ফেডএক্সের কর্মীরা৷
কবে কত টিকা
ড. মনসেফ স্লাওউই, যিনি টিকাপ্রদান কর্মসূচির মুখ্য উপদেষ্টা, জানান যে মার্চ মাসের মধ্যে দশ কোটি মানুষ টিকা পাবেন৷ ডিসেম্বর শেষ হবার আগেই মডার্না ও ফাইজারের টিকা মিলিয়ে মোট ৪ কোটি করোনা টিকার ডোজ পাওয়া যাবে, যা দুই কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত৷
টিকা হারানোর সম্ভাবনা
দেশজুড়ে এই বিশাল আকারে টিকা পোঁছানোর কাজ বেশ অনেকটাই জটিল৷ তাই মাঝপথে টিকা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রুখতে প্রতিটি টিকাবাহী বাক্স, ট্রাক ও বিমানে বসানো আছে ট্র্যাকার, যার সাহায্যে কর্তৃপক্ষের নজরে সবসময়েই থাকবে বহু প্রতিক্ষিত এই করোনা টিকা৷ একটি টিকাও হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তাই নেই বললেই চলে, দাবি দু’টি সংস্থারই৷