1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকার উদ্দেশ্যে ‘থিংক বিগ’ আহ্বান জানালো জার্মানি

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে ইউরোপ ও অ্যামেরিকার মধ্যে নিবিড় সম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করছে জার্মান সরকার৷ জি-সেভেন ও মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বাইডেনের ভাষণকে ঘিরে প্রত্যাশা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/3pPoJ
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকারের ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক সমন্বয়কারী পেটার বায়ার
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকারের ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক সমন্বয়কারী পেটার বায়ারছবি: DW/A. Shuka

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের দুই প্রান্তের মধ্যে সম্পর্ক মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে৷ সামরিক জোট ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ইউরোপের অনেক দেশের সঙ্গে অ্যামেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও চাপের মুখে পড়েছিল৷ জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার পর শুধু সম্পর্কের মেরামতি নয়, সেইসঙ্গে সহযোগিতা আরও নিবিড় করে তোলার স্বপ্ন দেখছেন ইউরোপের কিছু নেতা৷ চলতি সপ্তাহের শেষে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ভাষণেও সেই বার্তা শোনার আশায় রয়েছেন অনেকে৷ এছাড়া জি-সেভেন শীর্ষ বৈঠকেও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যোগ দেবেন তিনি৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকারের ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক সমন্বয়কারী পেটার বায়ার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমন প্রত্যাশার রূপরেখা তুলে ধরেছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অবশেষে বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি তিনি যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারের মাধ্যমে চীনের উপর চাপ সৃষ্টির আশা প্রকাশ করেন৷ সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে যৌথ উদ্যোগে এক কার্বন নির্গমন বাণিজ্য প্রণালীর প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি৷ মোটকথা শুধু সুসম্পর্কের বদলে সেই সম্পর্ককে আরও বড় মাত্রা যোগ করার কথা বলেছেন বায়ার৷ ‘থিংক বিগ’ স্লোগানের মাধ্যমে তিনি সেই প্রত্যাশার নির্যাস তুলে ধরেছেন৷ কিছু ক্ষেত্রে মতভেদ সত্ত্বেও পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে অগ্রসর হবার ডাক দিয়েছেন বায়ার৷

অন্যান্য অনেক বিষয়ের মতো অ্যামেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ভবিষ্যতের প্রশ্নেও ইউরোপে কিছুটা মতভেদ রয়েছে৷ জার্মানির মতো দেশ অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে চাইলেও ফ্রান্স কোনো পরাশক্তির উপর নির্ভর না করে ইউরোপকে আরও আত্মনির্ভর করে তোলার উপর জোর দিতে চায়৷

প্রেসিডেন্ট বাইডেনও ইউরোপসহ অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে আবার সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করলেও কিছু প্রশ্নে ট্রাম্পের আমলের কড়া নীতির পরিবর্তন করবেন কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের মাত্রার মতো প্রশ্নে নিছক সৌজন্যের খাতিরে তাঁর আমলে অ্যামেরিকার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার পথে ফিরে যাবার সম্ভাবনা কম৷ যে কোনো উদ্যোগে ইউরোপেরও সমান উদ্যোগ ও বিনিয়োগের জন্য চাপ দিতে পারেন বাইডেন৷

আপাতত বাইডেন করোনা সংকট ও সে কারণে অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে ব্যস্ত৷ আন্তর্জাতিক স্তরেও সেই লক্ষ্যে সহযোগিতার পক্ষে সওয়াল করতে চান তিনি৷ জি-সেভেন শীর্ষ বৈঠকে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাবে৷ করোনা টিকা উৎপাদন, বণ্টন ও বিতরণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও মহামারি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতির উপর জোর দিচ্ছেন তিনি৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনের ভূমিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের নীতির ক্ষেত্রে সমন্বয় দেখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)